তন্নীমা আক্তার : [২] দু’জনেই ব্যস্ত। তারমধ্যে করোনা, লকডাউন, বন্ধ আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল। এই পরিস্থিতিতে দেখা হয়নি বেশ কয়েক মাস। তাই এবার ভার্চুয়াল জীবনের দুরত্ব কাটিয়ে স্বাধীনভাবে সময় কাটাবেন সৃজিত-মিথিলা।
[৩] ভালবাসার টানেই এক হয়েছেন দু’জন। স্বাধীনতা দিবসে স্ত্রী-এর ঘরে ফেরার আনন্দ নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। বাংলাদেশ থেকে শ্বশুরবাড়িতে চলে এসেছেন সৃজিত-পত্নী, অভিনেত্রী-সমাজকর্মী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।
[৪] আনন্দ ভাগ করে নিতে সৃজিত মুখোপাধ্যায় ফেসবুকে লিখেছেন, “১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ঘৃণার কারণে সীমান্ত পারাপার হয়েছিল আর ২০২০ সালের ১৫ অগাস্ট ভালবাসার জন্য দু’জন সীমানা পার করল”।
[৫] ফেসবুকে পোস্ট করার পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ফেরার পথে পেট্রাপোল সীমান্তে স্ত্রী-মিথিলা এবং কন্যা আইরাকে নিয়ে ঘরে ফেরানোর সময়ের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন।
[৬] বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার সময় ঘরে ফেরাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উপস্থিত হয়েছিলেন পরিচালক। শোনা যাচ্ছে, মেয়ে আইরাকে কলকাতার একটি নামী স্কুলে ভর্তি করেছেন মিথিলা-সৃজিত। মনে করা হচ্ছে, মা-মেয়ে এখন কলকাতাতেই থাকবেন।
[৭] ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের ৬ তারিখ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সৃজিত-মিথিলা। কয়েকদিন একসঙ্গে সময় কাটিয়ে দু’জনে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
[৮] বিয়ের পরে প্রথম জামাই ষষ্ঠী সৃজিত মুখার্জি ও রফিয়াত রশিদ মিথিলা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে পালন করেছেন। লকডাউনের জন্য দীর্ঘকাল দেখা হয়নি দুজনের। আর তাই বিয়ের পরে প্রথম জামাই ষষ্ঠী পালন করা হল না সৃজিতের।
[৮] মার্চের ২২ তারিখ সৃজিত বিদেশ থেকে ফিরেই লকডাউনের শুরুতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সৃজিত লিখেছিলেন, অন্তিমের খুব কাছাকাছি আমরা। আমি যা দেখছি আর শুনছি, মানুষ এখনও রাস্তায় জড়ো হচ্ছে, ফুচকা খাচ্ছে, লাইনে দাঁড়িয়ে মাটন কিনছে, পৃথিবীর ব্যাপারে কোনো কাজ না করেই তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। দেশের রাষ্ট্রপতি ও জমায়েতের আয়োজন করছেন এবং তাতে একজন স্পোর্টস আইকন উপস্থিত থাকছেন। লোকজন সেজেগুজে কোয়ারেন্টাইন উদযাপন করতে হাউস পার্টি করছে। আমরা কি টাইটানিক-এ বসে ভায়োলিন বাজাচ্ছি!
[৯] দীর্ঘ ছয়মাস পরে একাধিক সমস্যা কাটিয়ে একসঙ্গে সময় কাটাবে সৃজিত-আইরা-মিথিলা। ভারতের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে ভালবাসার টানে এক হয়েছেন সৃজিত-মিথিলা।