শিমুল মাহমুদ : [২] কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ ব্যবসার দিকে রূপ নিচ্ছে। দেশে প্লাজমা থেরাপি বাবদ খরচ পড়ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। মানা হচ্ছে না কোনও নিয়ম-নীতি।
[৩] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা জানান, প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন নেই। এছাড়া দেশেও এ বিষয়ে কোন গাইডলাইন বা নীতিমালা হয়নি। তবে গত জুনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ট্রায়ালের অনুমোদন দেয় সরকার।
[৪] বিএসএমএমইউতে এমন একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নেতৃত্বে রয়েছেন ডা. শাহীন। তিনি বলেন, ডোনারের রক্তে যদি পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে না থাকে, তাহলে এ প্লাজমা রোগীর জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে হালকা থেকে মারাত্মক অ্যালারজিক রিঅ্যাকশন হতে পারে।
[৫] পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি হাসানুল হায়দার বলেন, কোভিড চিকিৎসায় এমন অনেক ঔষধ ব্যবহার হচ্ছে যেগুলো কাগজে কলমে নাই। প্লাজমাও একই ভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এক্ষেত্রে নীতিমালা জরুরি।
[৬] ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম এ খান বলেন, প্লাজমা ডোনেশনের ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার ১৪ দিন পর অ্যালাইজা টেস্ট করতে হবে।
[৭] এরআগে, ২১ জুন দেশে প্লাজমা-নিউট্রালাইজিং টেস্টের অনুমোদন দিয়েছে সরকার, তবে প্লাজমা-নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট এখনো সংকট। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব