শিমুল মাহমুদ: [২] গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি আরও বলেন, কোভিড-১৯ বিভিন্ন রকম উপসর্গ সৃষ্টি করে। রোগ ভালো হলেও কাউকে খুব দুর্বল করে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে প্লাজমা প্রদানের বিষয়টি আরও অনেক প্রচার হওয়া দরকার। বাংলাদেশে প্রতিটি জেলায় প্লাজমা সেন্টার হওয়া দরকার।
[৩] গণস্বাস্থ্যের প্লাজমা সেন্টারে প্রতিদিন কোভিড মুক্ত ২৫জন রোগীর রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে বলে জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী ।
[৪] রাজধানীর ধানমণ্ডিতে প্লাজমা সেন্টারের উদ্বোধন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক এম এ খান। উপস্থিত ছিলেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল।
[৫] এম এ খান জানান, প্লাজমা দুই পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রথম পদ্ধতি প্লাজমাফেরিসস, যা করা হয় একটা মেশিনের সাহায্যে। ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা খরচে মেশিন কিনতে হয়। নমুনা সংগ্রহ করতে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাগে।
[৬] আরেকটা পদ্ধতি হল, করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা রোগীর রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা। এখানে সমস্যা হল, এক জন থেকে যে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে, তা একজনকে শুধু একবার দেওয়া যাবে।
[৭] অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এখন বড় চ্যালেঞ্জ হল, ডোনারদের কারও কারও নমুনায় অ্যান্টিবডি কম থাকে। যারা অধিকমাত্রায় আক্রান্ত হন, যাদের মধ্যে লক্ষণ উপসর্গ বেশি থাকে, তাদের মধ্যে অ্যান্টিবডি বেশি থাকে। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, অ্যান্টিবডি পরিমাপ করা। কিছু কিছু জায়গায় অ্যান্টিবডি টেস্ট হচ্ছে।
[৮] উদ্বোধনী বক্তব্যে রাখেন গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও নগর হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোলাম কোরেইশী। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
[৯] অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কিট উদ্ভাবক অনু বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, অধ্যাপক ডা. শওকত আরমান, গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের মাইক্রো ভাইলজীর প্রধান অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. বদরুল হক পরিচালক গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব