সুজন কৈরী : [২] নৌ পুলিশের বিশেষ অভিযানে মেঘনা নদীর নলচড় থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে ১১৭ ফিট পাইপ দিয়ে নদীর ৮০ ফিট গভীরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন কালে দুইটি ড্রেজার ও একটি বাল্কহেড আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
[৩] বৃহস্পতিবার দুপুরে নৌ পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে এ অভিযান চালানো হয়।
[৪] আতিকুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি বন্যার প্রভাব ও মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে শতাধিক ঘরবাড়িসহ ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে স্থানীয় জনসাধারণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও নদী সংলগ্ন এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা, কবরস্থান ও ঈদগাঁসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।
[৫] নৌ পুলিশ বলছে, অব্যাহত নদী ভাঙ্গনের ফলে সাধারন মানুষ বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। মেঘনা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বালু মহালের ইজারা নেয়া প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট সীমারেখা অতিক্রম করে বালু উত্তোলনে করছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব বালু মহালের ইজারাদাররা মেঘনা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নিয়ম বর্হিভর্‚তভাবে অধিক গভীর থেকে বালু উত্তোলন করছেন। ফলে মেঘনা নদী ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব বালু উত্তোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসছেন।
[৬] নৌ পুলিশের লিগ্যাল, মিডিয়া এবং ট্রেনিং ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদা পারভীন বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর ভ‚গর্ভে বড় বড় গহ্বরের সৃষ্টি হচ্ছে এবং পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর পাড়সহ লোকালয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে নদীতে আইনশৃক্সক্ষলা রক্ষার পাশাপাশি অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সংস্থার অতিরিক্ত ডিআইজি মোল্লা নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :