ওমর ফারুক : [২] জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে মাত্র দুদিনের মধ্যেই অক্ষত মেরু-তুষার প্রাচীরটির প্রায় ৪০ শতাংশ গলে গেছে।
[৩] 'দ্য কানাডিয়ান আইস সার্ভিস' গবেষকরা, গত বৃহস্পতিবার এই চাঞ্চল্যকর তথ্যটি টুইট করে জানিয়েছে। 'স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রার ফলে এবং বাতাস ও খোলা পানি থাকায় হিমবাহটি ভেঙে গেছে।' এলসমেয়ার দ্বীপের কাছে অবস্থিত ছিল এই 'মিলনে আইসশেলফ' নামের বিশাল এই তুষার প্রাচীরটি। এইসময়।
[৪] কানাডার অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী দল জানিয়েছে, 'গোটা শহরের মতো সাইজের এক একটা বরফের টুকরো হয়ে ভেঙে পড়েছে মেরু-তুষার প্রাচীরটি।' প্রায় ৮০ স্কয়ার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভেসে ছিল ওই মেরু-তুষার প্রাচীরটি।
[৫] এটাই বিশ্বের শেষ এত বড় মেরু-তুষার প্রাচীর ছিলো। গত ৩০ বছরের চেয়ে বেশি দ্রুত গতিতে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এই মেরু-তুষার প্রাচীরটি ভেঙে পড়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
[৬] বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে যে হিমবাহ গলতে শুরু করেছে, সে তথ্য অনেক আগেই দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বরফ গলে সমুদ্রের পৃষ্টের উচ্চতা বাড়লে ভবিষ্যতে কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কাও বেশ কয়েক বছর ধরেই মাথাচাড়া দিচ্ছে। সেই আশঙ্কায় নতুন মাত্রা যোগ করল সুমেরুর সাম্প্রতিক পরিস্থিতি। আর এটাকেই অশনি সঙ্কেত হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ