লালমনিরহাট প্রতিনিধি: [২] জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত নববধূ মরিয়ম বেগমের(২৩) মৃত্যু হয়েছে।
[৩] সোমবার(১০ আগস্ট) সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
[৪] মৃত নববধূ মরিয়ম বেগম উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের সোহাগ মিয়ার(২৫) স্ত্রী। তিনি একই উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের মালগাড়া গ্রামের মৃত মোস্তফার মেয়ে।
[৫] পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৭ মাস আগে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে সোহাগ মিয়ার সাথে মরিয়মের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সোহাগ যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নানা ভাবে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতো। গত ৪ আগস্ট নববধূ স্ত্রী মরিয়মকে ভরণ পোষনের খরচ ছাড়া বাড়িতে রেখে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেয় স্বামী সোহাগ মিয়া। এতে বিরোধিতা করেন মরিয়ম। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে বাকবিতন্ডা বাঁধে। এর একপর্যয়ে মরিয়মকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন স্বামী সোহাগ।
[৬] নববধূ মরিয়মের আত্নচিৎকারে স্থানীয়রা এসে সোহাগকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এবং আশংকাজনক অবস্থায় মরিয়মকে উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ে হেরে যান নববধূ মরিয়ম। সোমবার(১০ আগস্ট) সকালে চিকিৎসকরা মরিয়মকে মৃত ঘোষনা করেন।
[৭] এ ঘটনায় ওই দিনই (৪ আগস্ট) ঘাতক স্বামী সোহাগসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মরিয়মের মা আজিমন নেছা। সেই মামলায় আটক স্বামী সোহাগকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
[৮] কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো.সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক স্বামী সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ