লিহান লিমা: [২] মৃত কিশোরী ফাতেমা আক্তার প্রিয়া (১৩) লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের গ্রাম পুলিশ সদস্য লোকমান হোসেনের কন্যা ও ভাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
[৩] এলাকাবাসী বলছেন, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে প্রিয়াকে কৌশলে শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে চার জন মিলে ধর্ষণের পর গলাটিপে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শনিবার রাতে ভাটরা ইউনিয়নের সামনে মানববন্ধন এবং প্রিয়া হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। প্রিয়ার বাবা লোকমান হোসেন বাহারুল আলম ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারসহ অজ্ঞাত আরো ৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
[৪] আসামি বাহারুল আলম (২৯) রোববার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নিহত স্কুলছাত্রীর বড় বোনের ওপর ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।
[৫] রামগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহসিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘ময়নাতদন্ত ছাড়াই ছাত্রীর মরদেহ তড়িঘড়ি করে দাফন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলন করতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে।’ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ‘বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
[৬] লোকমান হোসেন বলেন, শনিবার সকালে বাড়ির সম্পর্ককৃত নাতনি রাবেয়া আক্তার ও তার স্বামী বাহারুল আলম আমার মেয়েকে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। বিকাল ৩টায় আমার সুস্থ মেয়ে হৃদরোগে মারা গেছে বলে তারা প্রিয়ার লাশ বাড়িতে দিয়ে তাড়াতাড়ি চলে যায়। মরদেহ গোসল করানো সেলিনা আক্তার ও সেলিনা বেগম আমাদের জানান তারা প্রিয়ার শরীরে ক্ষতচিহ্ন ও রক্তক্ষরণ দেখেছেন। পরে এলাকাবাসীর সাহায্যে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাহারকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়।