কায়সার হামিদ : [২] পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর(অবসরপ্রাপ্ত) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরির সহযোগি সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা রানী দেব কারাগারে।
[৩] তাহসিন রিফাত নুর অভিভাবকের জিম্মায় ছাড়া পেলেও উদ্বেগের মধ্যে সময় কাটছে তার।
[৪] ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরি করতে তারা গত ৩ জুলাই কক্সবাজার আসেন। মেজর সিনহা ছিলেন ফিল্মটির প্রযোজক।
[৫] ‘জাস্ট গো’ নামক একটি ইউটিউব প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় ডকুমেন্টারি ফ্লিমটি তৈরির কাজ চলছিলো।
[৬] তারা তিনজনই ঢাকার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী।
[৭] সিনহা নিহতের ঘটনার পরপরই শিপ্রা রানী দেব ও তাহসিন রিফাত নুরকে হিমছড়ি নীলিমা রিসোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[৮] গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে রামু থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাহসিন রিফাত নুরকে তার অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
[৯] রামু থানায় একটি মামলা রুজু করে শিপ্রা রানী দেবকে গত ১ আগস্ট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
[১১] একইসঙ্গে মামলার আইও রামু থানার এসআই দীপংকর আসামি শিপ্রা রানী দেবের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত গত ৫ আগস্ট রিমান্ড আবেদন শুনানির জন্য রাখেন। কিন্তু ৫ আগস্ট আদালতে রিমান্ড আবেদনটির কোন শুনানি হয়নি। শিপ্রা রানী দেবনাথ তখন থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছে।
[১২] মেজর সিনহা নিহত হওয়া নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মোট ৩ টি মামলা দায়ের করা হয়। তার মধ্যে সিনহার সাথে সঙ্গে প্রাইভেটকারে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে আসামী করে টেকনাফ থানায় ২টি মামলা হয়।
[১৩] তার একটি ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এবং অপরটি সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে। গত ১ আগস্ট দায়েরকৃত মামলা ২টির বাদী হন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত।
[১৪] এ মামলায় সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :