সুজিৎ নন্দী : [২] চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নবনিযুক্ত প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের একার সমস্যা না, এটা পুরো দেশের সমস্যা। নদী ও সমুদ্রের প্রাকৃতিক শহর হওয়ায় এখানে জলাবদ্ধতা হয়। এ জলাবদ্ধতা দূরীকরণে নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, কাজ চলছে। চট্টগ্রামে এখন যেসব সমস্যা আছে সেটি আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যে নিরসন হবে।
[৩] তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর সিটি করপোরেশনে যানজট নিরসনে মূল বাধা। বন্দরকে আইন মেনে নিয়ম অনুযায়ী পরিচালনা করতে হবে। যেখানে সেখানে কনটেইনার টার্মিনাল হতে দেওয়া হবে না।
[৪] প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার এই সঙ্কটকালে প্রধানমন্ত্রী আমার ওপরে যে আস্থা রেখেছেন, তা আমার সাধ্যের, সামর্থ্যের শতভাগ দিয়ে পূরণ করবো।
[৫] শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরাম (সিজেএফ) আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে তিনি এ কথা বলেন।
[৬] তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বীর সন্তান মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে আমার সম্পর্কের কারণেই বোধহয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি ১৭ বছর মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে ছিলাম। সে অভিজ্ঞতা দিয়ে কাজ করবো। কাজ করতে গিয়ে আমার ভুল হবে। আপনারা সাংবাদিকরা সে ভুল ধরিয়ে দেবেন। নেগেটিভ নিউজ হলে আমি ক্ষেপবো না, এটা আপনাদের কথা দিলাম। আমি রাস্তায় ছিলাম, রাস্তায় আছি, রাস্তাতেই যেন আমার মৃত্যু হয়।
[৭] সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, যারা প্রার্থীতা নির্ধারণ করেন তারা সুযোগ দিলে নির্বাচন করব। এটা আমার ওপর নির্ভরকরে না। যা কিছু পেয়েছি তা নিয়েই আমি সন্তুষ্ট। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি মানুষের জন্য কাজ করব।
[৮] ছয় মাসের দায়িত্বে কোন কাজকে প্রাধান্য দেবেন- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ১৮০ দিনে কী করতে পারবো জানি না। তবে, পুরো সময়টা আমাকে জনগণ তাদের কাছে অথবা রাস্তায় পাবে। এ সময়ে সবকিছুর সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে রাস্তাঘাট সংস্কার ও পানি নিষ্কাশনের সমস্যা সমাধান আমার মূল লক্ষ্য।
[৯] অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিজেএফ সভাপতি শাহেদ সিদ্দিকী ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ নোমান। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ