মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনার প্রভাবে বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। সেই সঙ্গে বাড়ছে দেশের বাজারেও। বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশিও বাজারে দামের সমন্যয়ের কাজ করে থাকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি।
[৩] বৃহস্পতিবার সংগঠনটি দেশের বাজারে প্রতি ভরি ভালো মানের স্বর্ণে চার হাজার ৪৩২ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে।
[৪] এ নিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ভালো মানের স্বর্ণের ভরিতে ১৫,৬৮৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম বাড়ায় ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে দেশের স্বর্ণের দোকাগুলোতে দাবি ব্যবসায়ীদের।
[৫] ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭৪ হাজার ৬৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৩১৮ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি ৫৪ হাজার ৯৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
[৬] বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, আগে স্বর্ণের দাম কখনো বাড়তো আবার কখনো কমতো। এতে করে এটা ভাসম্য কাজ করতো। কয়েক মাস থেকে যেভাবে স্বর্ণের দাম বাড়তেছে তাতে এ খাতে ব্যবসায় টিকে থাকাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
[৭] তিনি বলেন, স্বর্ণের দাম সাধারণ ক্রেতার লাগালের বাহিরে চলে গেছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্তদের জন্য স্বর্ণ এখন স্বপ্নের মত হয়ে গেছে। যেভাবে দাম বড়ছে তাতে আমরা হতাশ। আমরা এখন তাকিয়ে আছি বর্হিবিশ্বের দিকে। বাজুসের তথ্যমতে, গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম অস্থির হয়ে উঠেছিল। এতে ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬১ হাজার ৫২৮ টাকা। এটি ছিল ওই সময় দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।
আপনার মতামত লিখুন :