কূটনৈতিক প্রতিবেদক : [২] বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও বঙ্গবন্ধু পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক স্মরণসভায় ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন। এসময় শেখ ফজিলাতুন্নেছা ও শেখ কামালের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
[৩] তিনি বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার দৃঢ়তা, সাহস ও অনুপ্রেরণার কারণেই বঙ্গবন্ধুর অর্জন সহজ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর পরতে পরতে বঙ্গমাতার কর্মকাণ্ড এত সুন্দর ভাবে চিত্রিত হয়েছে যা আমাদের সবার জানা উচিত ।
[৪] শেখ কামাল প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, অত্যন্ত বিনয়ী ও ভদ্র মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল তাঁর মাত্র ছাব্বিশ বছরের জীবনে দেশের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন।
[৫] এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে আরো গভীরভাবে জানতে সকলকে বঙ্গবন্ধুর উপর প্রকাশিত বই অধ্যয়নের আহ্বান জানান।
[৬] অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিউক্লিয়ায়াস ছিলেন বঙ্গমাতা। তিনি যে ভাবে একটি পরিবারকে গড়ে তুলেছেন তা কেবল বাংলাদেশ নয়, তৃতীয় বিশ্ব ও এর বাইরে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। যেভাবে তিনি বঙ্গবন্ধুর একজন যোগ্য সহযোগী ও সহচর হয়ে উঠেছিলেন তা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা ছাড়া সম্ভব নয়। এসময় আমাদের কর্মক্ষেত্র, সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের, বিশেষকরে বঙ্গমাতার অবদানকে তুলে ধরার আহবান জানান শাহরিয়ার আলম ।
[৭] আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা, শেখ কামালসহ ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। এছাড়া দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
[৮] স্মরণসভায় প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত সাহেদ রেজা প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন। এছাড়া পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ