ইয়াসিন আরাফাত : [২] একদিকে কোভিড-১৯ অন্যদিকে বন্যা থাকায় এবার দেশে গতবারের তুলনায় ৫ শতাংশ কমে ১ কোটি পশু কোরবানি হয়েছে। গতবার এ সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৬ লাখ। এবার যে ১ কোটি পশু কোরবানি হয়েছে, তার মধ্যে গরুর সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
[৩] প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বন্যা ও কোভিড-১৯ এর প্রভাবে এবার কোরবানির পশু বিক্রির সংখ্যা কমেছে । গত ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৬ লাখ পশু কোরবানি হয়েছিল। সাধারণত আগের বছরের তুলনায় প্রতিবছর আরো ৫ শতাংশ যোগ হয়। কারণ প্রতি বছর ৫ শতাংশ কোরবানি বাড়ে। অথচ করোনা ও বন্যার কারণে এবার ৫ শতাংশ কোরবানি কমেছে। করোনায় সবারই আয়-রোজগার কমেছে, তাই পশুর চাহিদাও কমেছে। দেশে মোট খামারের সংখ্যা ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯৯১টি। করোনা ও বন্যায় সব খামারি কোরবানির ঈদে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
[৪] সূত্রটি আরো জানায়, এবার কোরবানির ঈদে ১ কোটি ১৯ লাখ গবাদি পশু প্রস্তুত ছিল। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ছিল ৬০ লাখ। সাধারণত প্রতি বছর কোরবানির হার ৫ শতাংশ বাড়ে। কিন্তু এবার করোনা সংকটের কারণে ৫ শতাংশ না বেড়ে ৫ শতাংশ কমেছে।
[৫] ঈদে ঢাকার কয়েকটি অস্থায়ী হাটে গরুর সংকট প্রসঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, দেশে গবাদি পশু চাহিদার তুলনায় বাড়তি ছিল। করোনার কারণে মানুষ হয়তো কোরবানি কম দেবে, এ ভয়ে বেপারিরা হাটে গরু একেবারেই কম তুলেছেন। তবে হাটে বড় গরুর অভাব না থাকলেও মাঝারি গরু কম ছিল। রাজধানীর কয়েকটি হাট বাদে সারাদেশে গরুর দামও ঠিক ছিল।
[৬] প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (খামার) ড. এবিএম খালেদুজ্জামান বলেন, অন্যান্য বছর ঈদে গড়ে ৫ শতাংশ পশু বেশি কোরবানি হয়। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। করোনা ও বন্যার কারণে এবার ৫ শতাংশ কোরবানি কমেছে। গত বছর ১ কোটি ৬ লাখ পশু কোরবানি হয়েছিল। এবার হয়েছে ১ কোটি। তবে আমরা যে আশঙ্কা করেছিলাম তার থেকে ভালো হয়েছে।