শিরোনাম
◈ মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ◈ যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কমাতে চায় সরকার ◈ ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ◈ মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা আসছে আজ ◈ চীনা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দক্ষিণ এশিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ, ভারতকে সতর্ক থাকার আহ্বান তিব্বতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাংয়ের ◈ সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে ◈ ক্যালিফোর্নিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে তামাকের মতো সতর্কবার্তা প্রদর্শনের বিল অনুমোদন ◈ লন্ডনে এক লাখেরও বেশি মানুষের অভিবাসনবিরোধী সমাবেশ, পুলিশের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষে আহত ২৬ কর্মকর্তা ◈ কক্সবাজারে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর তার সামনে স্বামীকে হত্যা ◈ এক ম্যাচে দুই ভাইয়ের গোল, ইন্টার মিলান‌কে হারা‌লো জুভেন্টাস

প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট, ২০২০, ০৮:৫০ সকাল
আপডেট : ০৩ আগস্ট, ২০২০, ০৮:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টিকা পেতে মরিয়া ধনী দেশগুলো, অনিশ্চয়তায় বাকি বিশ্ব

ডেস্ক রিপোর্ট: ধনী দেশগুলো নিজেদের নাগরিকের জন্য এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য টিকার এক বিলিয়নের বেশি ডোজ কিনে নেয়ায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ফলে বাকি বিশ্ব এ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে। এটা বিশেষত উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোয় আলোচ্য প্যাথোজেন পরাস্ত করার বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করার ক্ষেত্রে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। খবর ব্লুমবার্গ।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যথাক্রমে সানোফি ও গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন পিএলসির সঙ্গে প্রয়োজনীয় টিকার ডোজ প্রাপ্তিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। জাপানও নিজ দেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের সঙ্গে কভিড-১৯ এর টিকা পেতে চুক্তি করেছে। সম্ভাব্য টিকাগুলো কতটা ভালো করবে, সেটি জানার বেশ আগেই ইউরোপীয় ইউনিয়নও প্রয়োজনীয় পরিমাণ ডোজ পেতে আগ্রাসী পদক্ষেপ নিয়েছে।

এদিকে বিশ্বের সব নাগরিকের ( প্রায় ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন মানুষ) কাছে টিকা সহজলভ্য ও অভিগম্য করতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও কয়েকটি দেশ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তবে ধনী দেশগুলোর টিকার ওপর একচেটিয়া প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা দরিদ্র দেশগুলো এবং স্বাস্থ্য প্রবক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে; ঠিক এমন এক দৃশ্য ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু মহামারীর সময়েও তৈরি হয়েছিল।

লন্ডনভিত্তিক অ্যানালাইটিক্স ফার্ম এয়ারফিনিটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপান কভিড-১৮ টিকার প্রায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডোজ নিজেদের জন্য নিশ্চিত করেছে। তথ্য বলছে, সামনে হতে যাওয়া চুক্তিগুলোর মাধ্যমে মোট ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডোজ ধনী দেশগুলোর জন্য কুক্ষিগত হবে। আর এখানেই বাকি বিশ্বের অনিশ্চয়তার মূল কারণ নিহিত।

অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, দ্য কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস অ্যান্ড গ্যাভি এবং দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স সবার জন্য টিকার সমান ও ব্যাপকতর প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে একযোগে করছে। তারা এরই মধ্যে ১৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে এবং ২০২১ সালের শেষের দিকে ২ বিলিয়ন ডোজ নিশ্চিতে আশাবাদী।

কোভ্যাক্স নামে পরিচিত তাদের এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার ব্যাপারে দরিদ্র দেশগুলো বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে জানা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রচেষ্টা এগিয়ে গেলে অসফল টিকা ক্যান্ডিডেটকে সরকারগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা জোগানোর ঝুঁকি যেমন কমবে, তেমনি অন্যভাবে অসমর্থ হওয়া দেশগুলোর জন্য সীমিত অর্থায়নে প্রয়োজনীয় টিকার ডোজ পাওয়ার সুযোগ তৈরি করবে। এতে অন্তত অনিশ্চয়তার আপাত অবসান ঘটবে বলে তাদের ধারণা।বণিক বার্তা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়