শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ০২ আগস্ট, ২০২০, ০৬:৩১ সকাল
আপডেট : ০২ আগস্ট, ২০২০, ০৬:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বছরে ১৮ হাজার ২৫০ কোটি মশা হত্যা : মশা বলে কি তাদের জীবন নাই?

মাহমুদ হাসান : কানাডার যেই অঞ্চলটাতে আমি থাকি, আল্লাহর রহমতে সেই অঞ্চলে মশা নাই। বেশিরভাগ অঞ্চলেই আসলে নাই। আমি এই দেশে এসেছি এই মাসে সাত বছর হয়ে গেল, এই সাত বছরে কোনদিন মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হয়নি।

তবে আমার মনে আছে, বাংলাদেশে থাকতে আমি শেষের দিকে ঢাকায় যখন ছিলাম দু বছরের মত, তখন আমার ঢাকার বাসাটা ছিল ছয়তলার উপরে, চারপাশে খোলা, প্রচণ্ড বাতাস ও একই সঙ্গে প্রচণ্ড রোদ। সেই বাসার প্রচণ্ড বাতাসের মাঝেও মশার কমতি ছিল না। মাঝে চার মাস একটা একতলা বাসায় ভাড়া থাকতাম, সেখানেও মশার কমতি ছিল না। তারও আগে যখন চুয়েটে থাকতাম, তখন মশার কথা আর নাই বা বলি।

সেই সব বছরগুলোতে, আমার মনে পড়ে, রাত জেগে পড়তে বসলে দুই হাতে সমানে মশা মারতাম। সকাল নাগাদ মশার একটা স্তূপ জমে যেত টেবিলে। ঢাকায় ফেরার পর কানাডায় আসার জন্যে যখন রাত জেগে চেষ্টা-চরিত্র করছিলাম, তখনও এরকম সকাল পর্যন্ত কাজ করলে দেখতাম মশার স্তূপ জমে যেত পাশে। আর হাতে, পায়ে ছোপ ছোপ, চিটচিটে, নানারকম রক্তের দাগ জমে থাকত। আমার মনে আছে আমি তখন মশা কাউন্ট করতাম। এক রাতে সর্বোচ্চ মশা মারার রেকর্ড আমার চুয়েটে হয়েছিল, ৩৭১টা। ব্রায়ান লারার ৩৭৫ রানের রেকর্ড ভাঙতে না পেরে মনটা খারাপ হয়েছিল যদিও।

আমার ধারণা, সেই সময়ে চুয়েটের অন্যান্য হলগুলোতে বা অন্যান্য রুমগুলোতে যাঁরা থাকতেন বা ঢাকায় যাঁরা থাকতেন তাঁদের অভিজ্ঞতা কম বেশি একই রকম। মানে এক রাতে যদি আমি সারারাত জেগে থেকে ৩০০ মশা মেরে থাকি, অন্যান্যরা রাতের তিনভাগের এক ভাগ সময় জেগে থেকে অন্তত ১০০ মশা নিশ্চয়ই মারতেন। শিশু ও বৃদ্ধরা যদি কম মেরে থেকে থাকেন, তাহলে গড়ে বলা যেতে পারে সবাই অন্তত ৫০টা করে মশা প্রতি রাতে মেরেছেন। ঢাকা শহরের তখন আনুমানিক জনসংখ্যা ছিল এক কোটির কাছাকাছি। সবাই গড়ে ৫০টা করে মশা মারলে এক রাতেই, কেবল ঢাকা শহরেই, মশা মারা হত ৫০ কোটি। বছরে হত্যাকৃত মশার সংখ্যা তাহলে দাঁড়ায় ১৮,২৫০ কোটি।

পুরো বাংলাদেশে কোরবানি হয় এক কোটি ১০ লাখের মত পশু। সেটাও বছরে মাত্র একদিন (আসলে তিনদিন)। সেটা হচ্ছে বছরে হত্যাকৃত মশার সংখ্যার আঠার হাজার ভাগের একভাগ। মশা তো খাওয়াও যায় না মারার পরে। কোরবানির মাংস তো খাওয়া যায় এটলিস্ট। ইন একচুয়াল ফ্যাক্ট ভালই খাওয়া যায়। বহু মানুষের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয় এই সময়ে। অবশ্য যাঁদের আল্লাহপাক রেগুলার মাংস খাওয়ার তৌফিক আগেত্থিকাই দিয়া রাখছেন ওগো আবার প্রেশারও বাইরা যায় 🥴। এই জন্য নিজে বেশি না খায়া দুস্থ মানুষকে বণ্টন করা উত্তম।

যাহোক, ঘটনা সেটা না। ঘটনা হচ্ছে এই যে বছরে ১৮ হাজার ২৫০ কোটি মশা হত্যা হয় সেটা নিয়ে কেউ কোন আপত্তি করে না, পশু প্রেম, পাখি প্রেম, পোকা প্রেম দেখায় না। মশা বলে কি ওদের জীবন নাই? ওদেরও আছে পরিবার, ওদের ঘরেও (ডোবায়, ড্রেনে) সন্তান থাকে ওদের মুখ চেয়ে। সেই হাজার হাজার কোটি মশা হত্যা নিয়া কেউ কুনু কথা কয় না, অতছ এদিকে তারফরও সহাল বেলা একদল লুকে বলে - কুরবানি বালা না, পশুহত্যা বালা না।

হ আমিও কই, পশুহত্যা তো বালা না, বিরানি, বার্গার আর পিজার দুকান বালা, বালা লইয়াই থাইক্কো।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়