রাশিদ রিয়াজ : [২] মার্কিন ব্যুরো অব ইকোনমিক এ্যানালাইসিস বলছে কোভিড ভাইরাসে দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থনীতির যে তীব্র সংকোচন শুরু হয়েছিল তার ফলে ভোক্তা চাহিদা ও আর্থিক কর্মকাণ্ড গতি লাভ করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট বা জিডিপি হ্রাস পেয়েছে ৩২.৯ শতাংশ। ব্যুরো ইকোনমিক এ্যানালাইসিস বলছে ১৯৪৭ সালের পর এটিই সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। আরটি
[৩] কোভিড মহামারির আগে ১৯৫৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপি রেকর্ড ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। গত এপ্রিল, মে ও জুনে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক সংকট মহামন্দার চেয়ে অন্তত চারগুণ খারাপ ছিল।
[৪] ব্যুরো ইকোনমিক এ্যানালাইসিস বলছে এবছর প্রথম প্রান্তিকে মার্কিন অর্থনীতি সংকুচিত হয়ে পড়ে ৫ শতাংশ। মার্চে শাটডাউন শুরু হলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে। পরিস্থিতিকে মহাসংকট বলে অভিহিত করেছেন বিশ্লেষক পিটার স্কিফ।
[৫] গত মার্চ ও এপ্রিলে ঘরে থাকতে বলা হয় মার্কিন নাগরিকদের। মে ও জুনে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি এলাকায় আংশিক লকডাউন তুলে দেয়া হয়। সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। এরফলে আর্থিক কর্মকাণ্ডে ভাটার সৃষ্টি হয়। ফলে অনেক ব্যবসা চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের দুই-তৃতীয়াংশ আর্থিক কর্মকাণ্ড লোপ পায়।
[৬] মুডি এ্যানালাইটিক্সের প্রধান বিশ্লেষক মার্ক জান্ডি বলেন অর্থনীতি যেনো কালো গহ্বরে পড়ে আটকে আছে। সিএনবিসি’কে তিনি আরো বলেন, আমরা এ গভীর গর্ত থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছি কিন্তু এজন্যে প্রচুর সময় প্রয়োজন।
[৭] গত সপ্তাহে আরো ১.৪৩ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক বেকার ভাতার জন্যে আবেদন জানিয়েছে।