লিহান লিমা: [২] ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এক নির্দেশনায় বিতর্কিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর থেকে ১৯৭১ সালের জমি অধিগ্রহণ আইন বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে সেখানে অবস্থানরত সেনারা স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই কাশ্মীরে জমি অধিগ্রহণ করতে পারবেন। পূর্বে এই অঞ্চলে ভারতের সেনা, বিএসএফ, সিআরপিএফ-এর প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণে জম্মু-কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্রদপ্তরের অনুমতির প্রয়োজন হতো। আল জাজিরা
[৩] নতুন এই আইনের ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে এই অঞ্চলে অবকাঠামো নির্মাণের অবাধ সুযোগ করে দেয়া হলো। মে মাসে এক আইনে ভারত সরকার বহিরাগতদের কাশ্মীরে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি প্রদান করে।
[৪] গত বছরে ৫ আগস্ট ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিল করে। পার্লামেন্টে পুনর্গঠন বিল পাশ করে রাজ্য ভেঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হয়। একই সময়ে কাশ্মীরে কড়া নিরাপত্তা আরোপ করা হয়, হাজারো অধিকার কর্মী, ছাত্র-তরুণ ও রাজনীতিবিদদের গ্রেপ্তার করা হয়।
[৫] বিশেষ মর্যাদা বাতিলের বর্ষপূর্তিতে কাশ্মীরি পন্ডিতদের সংগঠন পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ও সংবিধানের ৩৭০ ধারা পুনর্বহালের আবেদন জানিয়েছে। সংগঠনের সভাপতি সতীশ মহলাদার বলেন,‘ ইতোপূর্বে কোনোদিন কোনও প্রদেশের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়নি। এটা গণতন্ত্রে হয় না। সেনা নামিয়ে একটি রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কোনও সরকার নিজের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে পারে না।’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
[৬] বিজেপি নেতারা এতোদিন বলছিন, ৯০-এর দশকে সংঘাতের কারণে কাশ্মীর ছাড়া ‘কাশ্মীরি পণ্ডিত’দের নিজ ভিটায় ফেরাতে তারা এই মর্যাদা বাতিল করেছে। তাদের পক্ষ থেকেই ৩৯০ ধারা বাতিলের দাবী বেশ তাৎপর্যপূর্র্ণ বলে দেখা হচ্ছে।
[৭] কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থাকলে বিধানসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না।’ সম্পাদনা: ইকবাল খান