মঈন উদ্দীন: [২] রাজশাহীর সীমান্ত পথে ভারতীয় গরু আমদানী ও চোরাচালান ঠেকাতে বেশ কিছুদিন আগেই প্রস্তুতি নেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এরপরও ভারতীয় গরু আসছেই। কিভাবে আসছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে বিজিবি বলছে, রাজশাহী চর মাঝার দিয়াড় এলাকার একটি অনুমোদিত করিডোর দিয়ে গরু আসছে। কোরবানির আগ মুহুর্তে ভারতীয় গরু হাটে ওঠায় দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন রাজশাহীর খামারিরা।
[৩] এরই মধ্যে জমছে কোরবানির হাট। গরুতে ঠাঁসা হাট। এসব গরুর বেশির ভাগই দেশি খামারের গরু হলেও বেশ কিছু ভারতীয় গরুও হাটে উঠছে। অথচ বেশ কিছুদিন আগেই স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ নেয় ভারতীয় গরু যাতে সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে না পারে। উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুহাট রাজশাহীর সিটিহাটে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানির আগে হাটে প্রচুর গরু উঠেছে। তবে ক্রেতা কম। হাটে দেশি গরুর পাশাপাশি আছে প্রচুর ভারতীয় গরুও। সেসব গরুর দাম তুলনামূলক কম। এর প্রভাবে দেশি গরুরও দাম পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।
[৪] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে আসা গরুগুলো ট্রাকে করে হাটে নেয়া হচ্ছে। পথে গোদাগাড়ীর রাজাবাড়িহাটে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কাস্টমসের যৌথ চেকপোস্টে করিডরের কাগজ দেখানোর জন্য ট্রাকগুলোকে থামতে হচ্ছে।
[৫] এবিষয়ে বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন, রাজশাহীতে তাদের চারটি খাটাল রয়েছে। এর মধ্যে চর মাঝার দিয়াড়ের একটি খাটাল দিয়ে ভারতীয় গরু আসছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষেই এটার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে তারা সেখান দিয়ে প্রতিদিন গরু আমদানি করতে পারে না। এছাড়াও অবৈধ পথ দিয়ে কোন ভারতীয় গরু আসছে না বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :