অমি রহমান পিয়াল: আওয়ামী লীগরে ধ্বংস করতে আওয়ামী লীগই যথেষ্ট। আর কাউরে লাগে না। জাতির জনক হত্যার পর খুনি সরকারের মন্ত্রিসভায় দেখা গেছিলো আওয়ামী লীগ নেতাদেরই। এবং আওয়ামী লীগে পলিটিক্স নাই শুধু তেলবাজি এইটাও একটা মিথ। দুইটাই আছে। তেল মারা হয় উপরে উঠতে, আর পলিটিক্স করা হয় প্রতিপক্ষরে দাবায়া রাখতে। এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আওয়ামী লীগের গ্রুপিং নাই। সবখানে প্রেসিডেন্ট সাধারণ সম্পাদক দুই গ্রুপ। প্রেসিডেন্ট ভাবে ওরে আর উঠতে দিমু না, আর সাধারণ সম্পাদক ভাবেনÑ প্রেসিডেন্টের ফালাইতে হবে। এই গ্রুপিংয়েই ঢুইকা পরে জামায়াত শিবির-বিএনপির লোকজন। দলভারী রাখতে এদেরই দেখা যায় বিভিন্ন পোস্টে মনোনয়ন দিতে।
জেনুইন লীগারদের সোগায় লাথি মাইরা। এখন তো সারাদেশে সবাই আওয়ামী লীগ। ফেসবুক খুললেই বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার কাভার, বায়োতে লেখা মুজিব সৈনিক। আবার দেখি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তি ও দাবি করে। আজহারীর ওয়াজের ভক্ত, শেয়ার দেয়। এই ধান্দালীগারদের দায় কার উপর বর্তায়? আমরা তো চিলগলা ভাইঙ্গা ফেললাম। নেতাদের তো হুশ নাই। দুইদিনের বৈরাগী ভাতরে অন্ন কইলেই আমাদের হাইকমান্ডের চক্ষু জুলজুল কইরা উঠে, তারে এমপি বানায়া নেতা বানায়া টকশোতে পাঠায়া কমিটিতে জায়গা দিয়া বিদিক কইরা লায়। দেশে যেন লীগারের অভাব। তাগো ভাবনায় তৃণমূলের সব কর্মী মনে হয় মূর্খ, বস্তি থিকা উইঠা আসছে, কাটা চামুচে খাইতে পারে না তাই নেতা বানানো হয় না। অবস্থা যা হইছে কালকে যদি গোলাম আজমের নাতি আইসা আওয়ামী লীগে ঢুকে, ভালো পদ পাইবো। আমরা তারে বুকে টাইনা নিমু। কারণ আওয়ামী লীগ উদার গণতান্ত্রিক দল। কাউরে না করতে পারে না। কারো ঠিকুজি রিচেক করার টাইম নাই। সামনে চলোরে। আমরা সাধারণ কর্মী সমর্থকরাই পাছাটা মারা খাই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :