রাজু চৌধুরী : [২] মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার কারবার করে আসা এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে সিএমপি ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
[৩] ২৬ জুলাই (রোববার) এক সহযোগীসহ ডবলমুরিং থানাধীন রেলওয়ের কদমতলী সংকেত কারখানার সামনে থেকে ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম অমর দাশ পিতা-মনীন্দ্র দাশ স্থায়ী ঠিকানা - কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন জাফরগঞ্জ। তিনি নগরের সদরঘাট থানাধীন নালাপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। তার সহযোগী অলি উল্লাহ (৩৮) চাঁদপুর জেলার সদর থানাধীন বাঁশগাড়িচর এলাকার ছিদ্দিক খালাসীর ছেলে।
[৪] ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত অমর দাশ ইয়াবার টাকা লেনদেনের সুবিধার জন্যই বেছে নিয়েছিলেন বিকাশ এর ব্যবসাকে।
[৫]এর আগে একবার পুলিশের হাতে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হলেও এতদিন ছিলেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অবশেষে ধরা পড়েছেন ইয়াবাসহ। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
[৬] চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবির বলেন, ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারকৃত অমর দাশ, রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাইকারি ইয়াবা সরবরাহ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। ইয়াবার টাকা লেনদেনের সুবিধার জন্য বিকাশের দোকান দেন এবং সাতকানিয়ার নাজিম ও আহাদ নামে দুইজনের কাছ থেকে তিনি ইয়াবা সংগ্রহ করে পাইকারি দামে বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করেন বলে জানা গেছে। তার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা এএএম হুমায়ুন কবির।
[৭] ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্নব বড়ুয়া বলেন, অমর দাশ ক্রেতার কাছে ইয়াবা পৌঁছানোর জন্য বেশ কয়েকজন বাহককে ব্যবহার করেন। এদের মধ্যে অলি উল্লাহ একজন। তিনিও অমর দাশের সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন। অমর এর আগে ২০১৮ সালে কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া এক মাদক মামলার আসামি। এসআই অর্নব বড়ুয়া বলেন, গ্রেপ্তার করার সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ও নগদ ৭৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে অমর দাশের দেওয়া তথ্যে তার বাসা থেকে একটি ল্যাপটপ, আরও ৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হলে বিজ্ঞ আদালত আসামিদের দুইদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন।