দেবদুলাল মুন্না: [২] ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়া গতকাল রোববার একটি বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে। প্রতিবেদনটির হেডিং, ‘টু চেক বাংলাদেশজ চায়না ড্রিফট, ইউএস মে ডিপোর্ট মুজিব কিলিং সাসপেক্ট’।
[৩] রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী রাশেদ চৌধুরী ২০০৬ সালে তাকে আশ্রয় মঞ্জুর করেন যুক্তরাষ্ট্র। রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একনিষ্ঠভাবে লেগে আছে শেখ হাসিনার সরকার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেসব কর্মকর্তা ঢাকা সফরে এসেছেন তাদের প্রতি জনের কাছে এ ইস্যুটি উত্থাপন করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। এরই মধ্যে রাশেদ চৌধুরী বাংলাদেশে অভিযুক্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অনেককে অভিযুক্ত করে তাদের ফাঁসি কার্যকর করেছে শেখ হাসিনার সরকার। কিন্তু রাশেদ চৌধুরী ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
[৪] কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন এটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার রাশেদ চৌধুরী সম্পর্কিত সব ডকুমেন্ট তলব করেছেন । রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবীদের উদ্ধৃত করে পলিটিকো বলেছে, রাশেদ চৌধুরীর আশ্রয় অনুমোদন বাতিল করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় এবং তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে।
[৫] টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, শেখ হাসিনার ক্ষমতায় গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এক্ষেত্রে ভারত ভূমিকা পালন করেছে। এখন বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কোনোরকম সম্পর্ক থাকুক সেটা চাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণে রাশেদকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।