আব্দুন নূর তুষার: আপনার বাবার যদি ডায়াবেটিস হয় এবং তিনি রোজ সকালে চিনির শিরা দিয়ে চা আর রসগোল্লা দিয়ে পরোটা খান, তাহলে আপনি কী করবেন? আপনি তাকে বলবেন, সেটা না খেতে। আর তারপরেও খেতে থাকলে? যে তার ভালো চায়, সে এটা বন্ধ করার জন্য বারবার বলবে। প্রয়োজনে রুঢ় হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে কথা বলা সেরকম একটা কাজ। স্বাস্থ্য দপ্তরে অনিয়মের যে বহুমূত্র সেটা থেকে গরিব জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বড়লোকেরা এই স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করে না। আর গরিবরা সব মেনে নেয়। তাদের যাওয়ার বিকল্প জায়গা নেই। যে কারণে চোরেরা রাজত্ব করে।
যারা দেশের ভালো চায়, মানুষের কাছে দেওয়া সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায় তারা এই দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে কথা বলবে। ভিশন ২০২১ থেকে ভিশন ২০৪১ থেকে জার্নি টু ২১০০। স্বাস্থ্যসেবা উন্নত না করলে মধ্য আয় আর উচ্চ আয়, সবটুকুই হাসপাতালে রেখে আসতে হবে। এটা সমালোচনা না। এটা দুর্নীতির প্রোটিনিউরিয়া, তোষণের রেইজড ক্রিয়েটিনিন লেভেল, স্বজনপ্রীতির পাস সেল, চুরির হেমাচুরিয়া, থেকে স্বাস্থ্য সেবা ও জনগণকে রক্ষার চেষ্টা। (প্রোটিনিউরিয়া = মূত্রে আমিষ নির্গমণ, ক্রিয়েটিনিন = রেচন জনিত বর্জ্য, পাস সেল = পুঁজ হেমাচুরিয়া = মূত্রে রক্ত নির্গমণ)।
আমরা কেবল উষ্ণ আবহাওয়ায় করোনা দেখছি। ডিসেম্বরে যখন শীত পড়বে তখন করোনা আরো ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত অসুস্থতা ও নিউমোনিয়া বাড়া কমার মৌসুম আছে। হাঁপানি, ব্রংকাইটিস এসব রোগীর সংখ্যা বাড়লে এবং সেই সময় তারা করোনা আক্রান্ত থাকলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। মানুষ শীতকালে ঠান্ডার কারণে সাবান পানি ব্যবহার, কাপড় ধোয়া এসব কমিয়ে দেয়। আবার ঠান্ডাজনিত অসুস্থতার রোগীরা বেশি বেশি হাত ধোয়া এসব এমনিতেও করতে পারেন না। তাতে করে ঝুঁকি বাড়বে। তাই শীত আসার আগেই করোনাকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। ফেসবুক থেকে