খালিদ আহমেদ : [২] ২০১১ সাল থেকে পাকিস্তান, ইরান, আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং ইরাকের নাগরিকদের জন্য ভিসা পেতে কড়াকড়ি আরোপ করে কুয়েত। আল কাবাস টুডে
[৩] কুয়েতি কর্মকর্তাদের অনিয়মের সুযোগে পাকিস্তান থেকে পাঁচ হাজার মানুষ দেশটিতে প্রবেশ করেছে।
[৪] দুই বছর আগে এই ঘটনা ঘটলেও পাপুলের দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়ে বিষয়টি বের হয়ে আসে।
[৫] জানা যায়, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ফ্যামিলি ও ভিজিট ভিসা নিয়ে এসব পাকিস্তানি কুয়েতে প্রবেশ করে।
[৬] কিন্তু কুয়েতি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে পাকিস্তানিরা এসব ভিসা পায়। এর মাধ্যমে অনেক পাকিস্তানি প্রবাসী তাদের পরিবারকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে নিয়ে আসে।
[৭] ভ্রমণ ভিসায় এসব পাকিস্তানিকে কুয়েতে নিয়ে আসা হলেও পরবর্তীতে ফ্যামিলি ভিসাতে তাদের অবস্থান দেখানো হয়।
[৮] দেশটির পাবলিক প্রসিকিউশন আরও দেখতে পায় যে, একইভাবে অন্তত এক হাজার ইরাকি নাগরিক কুয়েতে ঢুকেছে।
[৯] তারাও ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে কুয়েতি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে ভ্রমণ ভিসা নিয়ে দেশটিতে আসে।
[১০] বিভিন্ন কোম্পানির কর্মী হিসেবে এসব দেশের নাগরিকদের কুয়েতে নিয়ে আসা হয়। তবে এর সঙ্গে পাপুলের প্রতিষ্ঠান জড়িত কী না সেটি এখনো স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
[১১] কুয়েতে মানবপাচার ও অর্থ আত্মসাতের দায়ে ৬ জুন সংসদ সদস্য পাপুলকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ। এরপর ২৪ জুন পর্যন্ত ২১ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
[১২] দীর্ঘ অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশি সংসদ সদস্য পাপুল বছরে প্রায় দুই মিলিয়ন দিনার আয় করেছেন বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে শ্রমিকদের নিয়ে আসার মাধ্যমে।
[১৩] এই প্রক্রিয়া ঠিকভাবে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুষ ও উপহারও দিয়েছেন তিনি, সেই খরচ বাদ দিয়েই ওই পরিমাণ লাভ হয়েছে তার।
[১৫] কুয়েতি কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদানের অভিযোগও স্বীকার করেন পাপুল। তার থেকে ঘুষ নেয়ায় অভিযুক্ত হয়েছেন দুই কুয়েতি এমপি। এ বিষয়ে কুয়েতের সরকারি তদন্ত এখনো অব্যাহত রয়েছে।
[১৬] কুয়েতে মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শহিদ ইসলাম পাপুল। কুয়েতে তার ৫০ লাখ দিনারের সম্পদ রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত ব্যাংক আ্যকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।