শিমুল মাহমুদ: [২] ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে ৫ জুলাই নথিসহ বৈঠক করেন ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’ প্রকল্পের তিন বিজ্ঞানী। বৈঠকে কিটের এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশনের পরামর্শ দেয় ঔষধ প্রশাসন। আইসিডিডিআরবি ও বিএসএমএমইউর যেকোন একটিতে এটা করতে বলা হয়।
[৩] আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিটের সেনসিটিভিটি ছিলো ৬৯ শতাংশ। ঔষধ প্রশাসন দেয়া নীতিমালা অনুযায়ী এটা ৯০ করতে হবে। এখন তারা তৃতীয় কোন পক্ষের মাধ্যমে ভ্যালিডেশন করালে হয়ে যাবে।
[৪] ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’ কিট প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বলেন, এই মুহূর্তে আইসিডিডিআর বি’ বা বিএসএমএমইউ’র কিট ভ্যালিডেশনের কারিগরী ব্যবস্থাপনা নেই। ভ্যালিডেশন শুরু করতে আরও অন্তত দুই মাস লাগবে।
[৫] তিনি জানান, ঔষুধ প্রশাসন অ্যান্টিবডি কিটের ‘প্যানেল টেস্ট’ করিয়ে আনতে বলেছে। এই টেস্টের মেশিন বাংলাদেশে নেই। যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দুই/তিনটি দেশে এটা আছে। এ টেস্ট করতে হলে কিট নিয়ে সেদেশে যেতে হবে কিংবা মেশিন কিনে আনতে হবে। এর দাম ৪৫ লাখ টাকা। এছাড়া নীতিমালও এ ক্ষেত্রে একটা বাধা। আমদানী করলে শুধু ভ্যালিডেশন করলেই চলবে। সেনসিটিভিটির কথা বলা হয়নি। অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করলে লাগবে এক্সটারনাল ভ্যালিডেশন এবং সেনসিটিভিটি থাকতে হবে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ। সম্পাদনা: সিরাজুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :