লাইজুল ইসলাম : [২] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল বিভাগের প্রধান আমিনুল ইসলাম হাসপাতালটির বরাবর কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান। এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল পরিদর্শন কমিটি সরেজমিনে পরিদর্শনের সময় হাসপাতালটির অনিয়ম ধরা পরে।
[৩] হাসপাতালটির লাইসেন্স ২০১৮ সালে শেষ হয়েছে। এরপর তারা আর নবায়ন করেনি। মূল্যতালিকা উন্মুক্ত স্থানে লাগানো ছিলো না। পরিদর্শনের সময় বেড পাওয়া যায় ২৬টি। জনবলেরও ঘাটতি ছিলো। তিন শিফটে ৩ জন চিকিৎসক, ৬ জন নার্স থাকার কথা ছিলো। পরিদর্শন কালে একজন চিকিৎসক ছিলেন। নার্সিং কাউন্সিল কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত কোনো নার্স ছিলো না।
[৪] রোগীদের নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে অপারেশন চিকিৎসক করলেও এসিস্ট করে ওয়ার্ডবয় ও নন মেডিকেল লোকজন। যা আইনত দণ্ডনীয়। রোগীদের কাছ থেকে ইচ্ছামত ফি আদায় করা হতো। হাসপাতালটি অস্বাস্থ্যকর ও অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখা হয়েছে বিপদজ্জনক ভাবে। আইসিইউ ছিলো তালাবদ্ধ। হাসপাতালের পরিবেশ অনুযায়ী চলতে আইসিইউ রাখার পরিবেশ নেই।
[৫] তাদের বিরুদ্ধে মেডিকেল প্র্যাক্টিস এবং প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড লেবরোটরিজ অর্ডিনেন্স ১৯৮২ অনুযায়ী হাসপাতালটি পরিচালনা করা হয়নি। তাই লাইসেন্স নবায়ন না করা পর্যন্ত হাসপাতালটি বন্ধ থাকবে। কেনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব