সুজিৎ নন্দী : [২] রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়েও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা বাড়ানো যাচ্ছে না। সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার ব্যাপারে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এখনও নমুনা দেওয়ার বিষয়ে তাদের মধ্যে কিছুটা ভীতি কাজ করছে। অনেকে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করছে। লোকলজ্জায়ও কেউ কেউ সংক্রমণ বা উপসর্গ আড়াল করতে চাচ্ছেন। এমনটাই জানিয়েছেন লকডাউন এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
[৩] কাউন্সিলর অফিস সূত্র জানায়, মানুষের মাঝে ভীতি দূর করতে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এলাকাজুড়ে মাইকিং করা হচ্ছে। বাসায় বাসায় ডাক্তার গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। এরপরেও মানুষ স্বেচ্ছায় নমুনা দিতে তেমন একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আর এ কারণেই ওই এলাকায় রোগী শনাক্ত করা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি স্থানীয়রাও আতঙ্কে রয়েছেন।
[৪] করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ৪ জুলাই থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয় ওয়ারী এলাকাকে। এরই মধ্যে লকডাউনের ১৬তম দিন অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই এলাকা থেকে সংক্রমণ কমানো যাচ্ছে না। গত দুই দিন থেকে এ তিনটি প্রতিষ্ঠানের শতাধিক কর্মীর সমন্বয়ে গঠিত টিম বাসায় গিয়ে রোগীর খোঁজ নিচ্ছেন। এর পরেও মানুষ আগ্রহী হচ্ছে না।
[৫] সমাজকল্যাণ শাখা একাধিক সূত্র জানায়, বাসায় বাসায় গিয়ে করোনা উপসর্গ আছে কিনা তা দেখার চেষ্টা করছি। আগামী দিনগুলোতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তবে সাধারণ মানুষের আগ্রহ কম। কিন্তু কেউ নমুনা দিতে না চাইলে তো আমরা জোর করে নিতে পারি না। যারা বুথে গিয়ে নমুনা দিতে পারছেন না বা যারা অক্ষম তাদের কাছ থেকে বাসায় গিয়ে নমুনা নেওয়া হচ্ছে।
[৬] ওয়ারীর করোনা সংগ্রহ বুথের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত এলাকায় ২১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৯২ জনের নমুনার ফল পাওয়া গেছে। এতে ৮৫ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ