শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৯ দুপুর
আপডেট : ১৮ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এমাজউদ্দীন আহমদ: নাঈম আলোর পথের যাত্রায় অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হোক

এমাজউদ্দীন আহমদ: আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কারণ আমার একজন কৃতী ছাত্র সম্পর্কে দু’চারটি কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। নাঈমুল ইসলাম খান আমার এককালের ছাত্র। দীর্ঘদিন ধরে সংবাদপত্রের সঙ্গে আছে। সেটা প্রায় ৩০-৩৫ বছর। অত্যন্ত কৃতী সাংবাদিক। সে সমস্যা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারে। উপস্থাপনাটাও করে সেভাবেই। যেকোনো বিষয় সঠিকভাবে অনুধাবন করে তা প্রকাশ করার আগ্রহ বা উদ্যোগ সব সময়ই তার মধ্যে ছিলো। আমাদের গণমাধ্যমের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের সম্পর্কে অনেক কথা বলার থাকতে পারে, আমার এই প্রিয় ছাত্র সম্পর্কে আমার ধারণা, সে অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠভাবে, সত্য-সঠিক সংবাদটিই অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তা সে প্রকাশ করে। এজন্য তার লেখালেখি বা সংবাদিকতা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।
আমি চাই এ দেশের গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য এই তরুণ দেশের জন্য, মানুষের জন্য আরও অনেক বড় কিছু করুক। তার অনেক কিছু দেওয়ার আছে মানুষ। তাকে আমি তরুণই বলবো। কারণ সে আমার ছাত্র। আমার বয়স আশিরও ওপরে। ফলে সে আমার কাছে তরুণই। এই তারুণ্য প্রযোজ্য হোক সত্য কথনে ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে। সমাজে উদ্দীপনা তৈরিতে। সমাজে আজকে যে সমস্যা-সংকুল রয়েছে, সমাজকে পীড়িত করছে, যে কারণে আমাদের অনেক কথা শুনতে হয়। সমাজের এই ব্যত্যয়ের হাত থেকে উদ্ধার পেতে হলে প্রয়োজন নাঈমুল ইসলামের মতো সাংবাদিক। সে দীর্ঘজীবী হোক। যে পেশায় সে আছে, তা আরও সম্মানজনক করে তুলুক। কল্যাণমুখী করে তুলুক তার প্রচেষ্টা, তার উদ্যোগের মাধ্যমে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন সে পড়েছে অত্যন্ত ভালো ছাত্র হিসেবেই দেখেছি তাকে। তার শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা ছিলো। শিক্ষক হওয়ার কথাও ছিলো। যেকোনো কারণেই হোক না কেন, সেটা সে হয়নি। আজকে তো যোগ্যস্থানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যোগ্য ব্যক্তিরা নেই। এটা জাতির জন্য একটা অকল্যাণকর ব্যাপার। আমি চাইবো সে যেখানেই থাকুক না কেন, সংবাদ মাধ্যমের একজন সক্রিয় মানুষ হিসেবে, সত্যনিষ্ঠ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ে তার যে চিন্তাভাবনা দিয়ে অন্ধকারকে দূর করুক। আলোর পথকে উন্মুক্ত করুক। আজকে বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগ বাণিজ্য হচ্ছে। সেটা বিশ^বিদ্যালয়, প্রশাসন কিংবা অন্যান্য ক্ষেত্রে নিয়োগের ক্ষেত্রেই হোক না কেন, অথবা যেকোনো পর্যায়ে দেখবে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যাকে আমরা পছন্দ করি না, তাকে নিয়োগ দিই না। একটা উন্নত সমাজের জন্য অত্যন্ত অকল্যাণ বলে মনে করি। যা প্রত্যাখ্যাত, সেই ব্যবস্থাই বাংলাদেশে চালু আছে। কিন্তু তারপরও নাঈমুল খানের পথকে রুদ্ধ করা সম্ভব হয়নি। নিজের যোগ্যতার ভিত্তিতে সে অগ্রসর হয়েছে। একার্ধিক পত্রিকা প্রতিষ্ঠিত করেছে। বহু পত্রপত্রিকার সৃষ্টিকর্তা সে। তাকে সমাজ শ্রদ্ধা করবে। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে না পারায় তার ক্ষতি হয়নি, বরং তার জন্য হাজারো পথ উন্মুক্ত হয়ে গেছে বলেই মনে করি আমি। দেশটাকে আরও উন্নত, আরও সুন্দর করা, জনসাধারণকে সৎ পথে, আলোর পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার আলোর পথ আরও সুগম হয়েছে।

নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের মধ্যে এখন সম্মানীয় ব্যক্তি। তার এই উজ্জল বর্তমান যদি গতি লাভ করতে থাকে তার সৃজনশীল উদ্যোগের মাধ্যমে, সামনে আরও উজ্জল ভবিষ্যৎ তার জন্য অপেক্ষা করছে। তার ওই উজ্জল ভবিষ্যৎ দেশের কল্যাণে আরও কার্যর্ক হবে বলে আমি বিশ^াস করি। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংকীর্ণতার জন্য সমাজ আজ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেছে। ‘আমরা’ আর ‘ওরা’ করে করে একটা বিভক্ত দেশে পৌঁছেছে। সুতরাং এই পেক্ষাপটে তার যে ভূমিকা, সবাইকে মেলানোর যে উদ্যোগ তার তা যদি কার্যকর হয় তার সৃজনশীল উদ্যোগের মাধ্যমে তাহলে তো সে পথপ্রদর্শক হবে। আমার বহু ছাত্র-ছাত্রী এ ধরনের ভূমিকা পালন করে চলেছে। নাঈম তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠুক। সব চেয়ে অগ্রগামী ভূমিকায় নিযুক্ত হোক, প্রযোজ্য হোক।

দেশের বহু সাংবাদিক সত্য কথা বলতে গিয়ে নির্যাতিত হয়েছেন। সত্যনিষ্ঠ হওয়াটা যদি অন্যায় হয়ে থাকে এবং তার জন্য যদি শাস্তি ভোগ করতে হয় তাহলে এই সমাজে কী হবে ভবিষ্যতে, সেটা তো আমরা অনুভব করি। উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি দুর্বলতা একান্ত প্রয়োজন। এই দুর্বলতাকে যদি স্মরণে রেখে আমরা অগ্রসর হই তাহলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে যদি আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, সর্বপ্রথম যারা সংবাদপত্র নিয়ে সাধনা করেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। বর্তমান ব্যবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের সব থেকে বড্ড বেশি সাহসী ও বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তিবর্গের ভূমিকা প্রয়োজন হবে। অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, আলোর পথের দিশারী হয়ে আলোর পথ দেখানোর মানুষ এখন অনেক বেশি দরকার। নাঈম আলোর পথের যাত্রায় অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হোক, সেটাই চাই আমি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়