রাশিদ রিয়াজ : [২] ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক মাস্ক পরিধানের বিষয়টি বুধবার ঘোষণা করবেন। দোকানদারদের মাস্ক পরার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। অবশ্য মাস্ক না পরার জরিমানা ১৫ দিনে দিলে অর্ধেক মাফ করা হবে। ১১ বছরের কম ও প্রতিবন্ধীদের মাস্ক পরতে হবে না।
[৩] দোকানপাট থেকে শুরু করে সুপারশপে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজে মাস্ক পরে ঘুরছেন, স্বাভাবিক আর্থিক কর্মকাণ্ডে ফিরে আসতে বলছেন। দেখা গেছে মাস্ক পরতে বলায় বিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। তবে মাস্ক পরিধানের পক্ষে বিপক্ষে ব্রিটেনের মন্ত্রীদের বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। দি সান
[৪] ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমাবদ্ধ কোনো স্থানে বিশেষ করে দোকানপাটে মাস্ক পরে যাওয়া জরুরি। অন্যকে রক্ষা ও নিজে রক্ষা পেতে মাস্ক পরা উচিত। মাস্ক অতিরিক্ত স্বাস্থ্য বিমা হিসেবে কাজ করে।
[৫] বরিস বলেন মাস্ক পরিধান পারস্পরিক একটি বিষয়, যা কোভিডকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। এদিকে নতুন এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বলা হচ্ছে আগামী শীতে কোভিডের দ্বিতীয় দফা সংক্রমণে হাসপাতালে আরো ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে
[৬] স্কটল্যান্ডে শুক্রবার থেকেই মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাসেও মাস্ক বাধ্যতামূলক দাবির পাশাপাশি সীমাবদ্ধ স্থানে মাস্ক পরিধানের পক্ষেই এখন ব্রিটিশ জনমত বেশি রয়েছে। দেশটির সরকার সপ্তাহে ৫০ লাখ মাস্ক উৎপাদনের নির্দেশও দিয়েছে।
[৭] পুলিশ ও খুচরা বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কে মাস্ক পরছে কি পরছে না তা তাদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। মেট্রোপলিটন পুলিশ ফেডারেশনের চেয়ার্যান কেন মার্শ বলেছেন আমাদের এত পুলিশ নেই যে দোকানে দোকানে প্রহরা বসিয়ে রাখব। আগ্রাসী ক্রেতারা মাস্ক পরতে না চাইলে তাদের সঙ্গে কি ধরনের আচরণ করা উচিত তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা চান ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়ামের প্রধান নির্বাহি হেলেন ডিকেনসন।