সুজিৎ নন্দী : [২] ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসিকে একটি স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এরইমধ্যে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় বাইসাইকেল রাইড শেয়ারিং চালু করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ইত্যাদি সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে।
[৩] তিনি আরো বলেন, ডিএনসিসির নগর ভবনের দোতলায় একটি কমান্ড সেন্টার স্থাপন করা হবে। নাগরিক সেবা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে কমান্ড সেন্টার থেকে নগরের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যাবে, এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে।
[৪] ‘ই-ডটকো বাংলাদেশ’ নামক একটি মোবাইল ফোন টাওয়ার স্থাপনকারী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এটি স্থাপন করে। সোমবার ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম অনলাইনে পরীক্ষার্মূলকভাবে একটি স্মার্ট ল্যাম্পপোল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
[৫] তিনি আরও বলেন, আগামী চার মাসের মধ্যে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপের উদ্বোধন করা হবে। খুব দ্রুত আমরা স্মার্ট এলইডি লাইট স্থাপন করতে যাচ্ছি। আমরা সবকিছুতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যাচ্ছি। এর ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে ‘ডিজিটাল গরুর হাট’ উদ্বোধন করা হয়।
[৬] শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, যে শহর যত বেশি বাইসাইকেল চালানোর উপযোগী, সে শহর ততটা স্মার্ট, যেমন আমস্টার্ডম।
[৭] তিনি আরও বলেন, স্মার্ট সিটি বাস্তবায়ন করতে হলে, শহরের বাতাসের গুনগত মান, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বাইসাইকেল লেন, নারী-শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো, গণপরিবহন, জনস্বাস্থ্য, গণশিক্ষা ইত্যাদির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
[৮] স্মার্ট ল্যাম্পপোলটি রাজধানীর কাকলী বাসস্ট্যান্ডে স্থাপন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মতে, টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসাথে নিয়ে দেশের নাগরিকদেরকে নির্বিঘ্নে নেটওয়ার্ক সংযোগ ও আধুনিক নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বহুমুখী স্মার্ট ল্যাম্পপোল স্থাপনের এটি প্রথম সম্মিলিত প্রয়াস। এধরনের স্মার্ট ল্যাম্পপোলের মাধ্যমে আশপাশের এলাকায় বিনামূল্যে ওয়াইফাই, নিরাপত্তা নজরদারী, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্মার্ট বিন, রিয়েল টাইম এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং করা যাবে।
[৯] অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান জহুরুল হক, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই এবং ‘ইডটকো বাংলাদেশ’ এর কর্মকর্তারা। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ