রাহুল রাজ: [২] বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি গায়ে নিয়মিতই মাঠ কাঁপিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। দীর্ঘ দিন দেশের সর্বোচ্চ ওয়ানডে উইকেটের মালিক ছিলেন তিনি। তবুও জাতীয় দলে উপেক্ষিত। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত স্পিন ভেলকি দেখিয়েছেন অভিজ্ঞ এই স্পিনার।
[৩] কিন্তু ২০১৪ সালে দল থেকে বাদ পড়ার পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিরেছিলেন টেস্টে। দুই টেস্টের সিরিজও তার পরীক্ষা নিয়েছে তখন। প্রথম টেস্টে তারই মতো বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামকে টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দিলেন। নিজে থাকলেন একাদশের বাইরে। সানজামুলের পারফরম্যান্স এতটাই বাজে ছিল যে ঢাকায় ফিরে মিরপুরের শেষ টেস্টে রাজ্জাককে না নিয়ে পারা গেল না।
[৪] সাকিব আল হাসান তখন ইনজুরিতে। আর সেই টেস্টে দলে জায়গা পেয়ে প্রথম ইনিংসে ৬৩ রানে ৪ উইকেট নেন রাজ্জাকের। লঙ্কানরা ২২২ রানে অল আউট। ব্যাটসম্যানরা বড় স্বস্তায় নিজেদের হারাল দুই ইনিংসেই। পরের ইনিংসে আরেক উইকেট রাজ্জাকের। এরপর আর জায়গা হয়নি রাজ্জাকের। তবে দলে আসা-যাওয়ার কোন কারণ এখনও খুঁজে পান নি আব্দুর রাজ্জাক।
[৫] সম্প্রতি এক আলাপকালে দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে রাজ্জাক বলেন, “এটা তো পুরোটাই ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। ম্যানেজমেন্ট দল নিয়ে আমার থেকেও বেশি চিন্তা করেন। কাকে কখন দরকার হবে, কতদিন দরকার হবে- এগুলো তো তারাই দেখেন। হয়ত তখন আমাকে খুব বেশি দরকার ছিল না।”
[৬] “আমি নিজে থেকে অনেক চেষ্টা করেছি উত্তর খোঁজার, পাইনি। আমার কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই। আমি আসলে কোনো ব্যাখ্যা দিতেও পারব না। আমি এত বেশি হতাশ ছিলাম ঐ সময়টাতেৃ তবে এখনো যখন খেলি ভালো করার চেষ্টা করি। জাতীয় দলেই খেলতে হবে- এমন নয়। মানসিক সন্তুষ্টির একটা ব্যাপার আছে।” যোগ করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :