শরীফ শাওন : [২] খাদ্য ও কৃষিপণ্য আমদানি ব্যয় বছরে ৮৪ হাজার কোটি টাকা ।বিশ্বব্যাংক বলছে, খাদ্য ও কৃষিপণ্য আমদানিতে বাংলাদেশ প্রতিবছর ব্যয় করছে ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি। সম্প্রতি বেড়েছে তুলা আমদানি, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
[৩] বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোজ্যতেল, তেলবীজ, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, ডালবীজ, ফল ও মসলাপণ্যের ক্ষেত্রে এখনো অনেকটাই আমদানিনির্ভর বাংলাদেশ। এর প্রধান কারন হিসেবে দেখছেন সঠিক পরিকল্পনাভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।
[৪] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজ্ঞানী বলেন, সম্প্রতি পেঁয়াজ নিয়ে দুর্ভোগে পড়ার পর বিএডিসিকে উন্নত জাতের বিজ উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই বিএডিসির সীমাবদ্ধতার কারণে উদ্ভাবিত হাইব্রিড বিজ উৎপাদনে না যাওয়ায় কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। ফলে আমদানি নির্ভরতা থেকেই যায়।
[৫] মসলা গবেষণা কেন্দ্র বগুড়ার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হামিম রেজা বলেন, আমরা যেসকল জাত উদ্ভাবন করেছি তা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে পৌছানোর ব্যবস্থা করছি। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি পেঁয়াজে। বছরে চাহিদা ৩২-৩৩ লাখ মেট্রেক টন হলেও ঘাটতি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ লাখ মেট্রিক টন। ২ লক্ষ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়। আমাদের উদ্ভাবিত উন্নত জাতের বিজে প্রতি হেক্টরে ১৬ থেকে ২০ টন ফলন হয়। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :