শরীফ শাওন : [২] বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১৬ হর্স পাওয়ারের বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন নৌযানের সংখ্যা কমপক্ষে সাত লাখ। তবে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের তথ্যমতে এ সংখ্যা ১২ হাজার ৯৫৯টি। অর্থাৎ বাকি নৌযানগুলো অনিবন্ধিত এবং নিবন্ধন না থাকা নৌযানগুলো ভূয়া সার্টিফিকেটে চলাচল করছে। স্বভাবতই এগুলোর ফিটনেস সনদও ভূয়া, চালকরাও যোগাড় করছে ভূয়া লাইসেন্স।
[৩] গেল ২৯ জুন বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় এক বেসরকরি টেলিভিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এসকল ভূয়া লাইসেন্স, অদক্ষ চালক ও ফিটনেস নিয়ে তথ্য উঠে আসে। সেখানে বলা হয়, ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে সম্পূর্ণ আনফিট জাহাজের ফিটনেস লাইসেন্স ও মাত্র ২ লাখ টাকায় অদক্ষ চালকরা লাইসেন্স পেয়ে থাকেন।
[৪] প্রতিবেদনে বলা হয়, এসকল অনিয়মের অধিকাংশ অভিযোগ উঠে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চীফ ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হকের বিরুদ্ধে। এক জাহাজ মালিক বলেন, ৪৫ বছরের পুরোনো ভাঙা জাহাজ নতুন নামে ফিটনেস সার্টিফিকেট দিয়েছেন নাজমুল হক, তাও ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে। তিনি আরো বলেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নির্দিষ্ট কয়েকজন পিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই চালকরা লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারেন।
[৫] বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশ দূর্ঘটনার জন্য দায়ী অদক্ষ চালক ও ফিটনেসবিহীন জাহাজ। অদক্ষ চালকের লাইসেন্স ও জাহাজের অবৈধ ফিটনেস প্রাপ্তির বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব