আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ১৫০০ বছর আগে হাগিয়া সোফিয়ার জন্ম হয়েছিলো ক্যাথেড্রাল হিসেবে। পরে অটোম্যানরা কনস্টান্টিপোল দখল করার পর একে পরিণত করে মসজিদে। পরে কামাল পাশার হাতে সেক্যুলার তুরস্কের জন্ম হলে এটি পরিণত হয় জাদুঘরে। শুক্রবার এটিকে আবারও মসজিদে রুপান্তরিত করলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, আরটি, আনাদলু।
[৩] এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য। সংস্থটি অনুরোধ করেছিলো তুরস্ক যেনো এটি না করে।
[৪] ইস্তাম্বুলের ইসলামপন্থীরা বহুদিন ধরেই এটিকে মসজিদে পরিণত করার দাবি জানিয়ে আসছিলো। কিন্তু বিরোধীদলীয় সেক্যুলার নেতারা এর তীব্র বিরোধিতা করে আসছিলেন।
[৫] এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চ। অর্থোডক্স ভূমি গ্রিসও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
[৬] এরদোগান নিজে উপস্থিত হয়ে এটি খুলে দেবার ডিক্রি তুরস্কের রিলিজিয়াস ডিরেক্টোরেটের হাতে হস্তান্তর করেন।
[৭] ১৯৩৪ সালে কামাল পাশা এটিকে জাদুঘরে রুপান্তর করার পর থেকেই দেশটির ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো হাগিয়া সোফিয়া।
[৮] শুক্রবারই এই ব্যাপারে একটি রুল দেয় তুরস্কের প্রধান প্রাশাসনিক আদালত কাউন্সিল অব স্টেট। তারা বলছে, এটি মসজিদ হিসেবেই তৈরি হয়েছিলো। জাদুঘর হিসেবে নয়। সুতরাং এটি মসজিদ হিসেবে খুলে দেয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত। সম্পাদনা: ইকবাল খান