বাশার নূরু: [২] ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই গতকাল এক বিবৃতিতে একথা বলেন।
[৩] তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের সীমাহীন দুর্নীতির সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ রিজেন্ট হাসপাতালের কোভিড-১৯ টেস্ট জালিয়াতি। কোভিড-১৯ টেস্টের নামে ভুয়া সনদ দিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় জড়িত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদ করীমসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সাহেদের অপকর্মের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। ৬ বছর ধরে অনুমোদনহীন হাসপাতালকে করোনা টেস্টের সুযোগ দিয়ে দুর্নীতি ও প্রতারণাকে সরকার উৎসাহিত করছে।
[৪] তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের এত অপকর্মের পরও সে কিভাবে সরকারের উচ্চ পদস্থদের সাথে ঘনিষ্টপূর্ণ ছবি আপলোড করে এবং ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা করেছে তা ভাবিয়ে তুলেছে। তার হাসপাতালের মেয়াদ ৬ বছর পূর্বে শেষ হওয়ার পরও কিভাবে করোনা টেস্টের অনুমোদন পায়, তা আমাদের বোধগম্য নয়। এই প্রতারকের সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তিই প্রমাণ করে দেশের চিকিৎসা সেবা কোন পর্যায়ে? এত অপকর্ম করে সাহেদ কিভাবে টিকে থাকলো, প্রশাসন বা দেশের চালিকা শক্তি বলে কি কেউ নেই?
[৫] পীর সাহেব বলেন, সরকারি দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হিসেবে পরিচিত প্রতারক সাহেদ সরকার দলীয় পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে দাপটের সাথে চলাফেরা করেছে। এ পরিচয়ে বিভিন্ন টিভি টকশোতে সে প্রকাশ্যে সরকারি দলের হয়ে কথা বলেছে। র্যাবের প্রশংসনীয় অভিযানের ফলে রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতি ও সাহেদের দুর্নীতি ও প্রতারণা প্রকাশ পেয়েছে।