রাশিদ রিয়াজ : [২] সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিটি সাবেক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অসাধু অভিযোগ চূড়ান্ত করেছে। ২০১৭ সালে ক্রাউন প্রিন্সের পদ থেকে বিন নায়েফকে পদচ্যুত করা হয়। মিডিল ইস্ট মনিটর
[৩] ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ৬০ বছরের বিন নায়েফকে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখেন। ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হচ্ছে বিন নায়েফ ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্ট ও বিভিন্ন সৌদি কোম্পানির টাকা একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেন। তিনি তখন সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
[৪] স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিন নায়েফ রিয়াদে আল-কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তদারকি করছিলেন। প্রথমে বিন নায়েফ তার বাবা প্রিন্স নায়েফের প্রধান সহকারি হিসেবে মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পান এরপর ২০১২ সালে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান।
[৫] বিন নায়েফের সমর্থকরা তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন এটি মিথ্যা। সৌদি আরবের সাবেক বাদশাহ আব্দুল্লাহ ২০০৭ সালে একটি রাজকীয় ফর্মান জারি করে বিন নায়েফের সমস্ত কার্যক্রমকে অনুমোদন করেন। পরে তার ব্যয়ের বিষয়ে একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিন নায়েফ যে সৌদি তহবিলের অপব্যবহার করেননি তা প্রমাণে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র জমা দেয়া হয়।
[৬] সিআইএ’র সাবেক পরিচালক জন ব্রানন্যান কয়েক দশক ধরে কাজ করেছেন বিন নায়েফের সঙ্গে। ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন তার মনে হয় না এধরনের কোনো অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে বিন নায়েফ জড়িত থাকতে পারেন।
[৭] সন্ত্রাস দমনে অর্থব্যায়ের ব্যাপারে বিন নায়েফের বিরুদ্ধে একবার ৫ বিলিয়ন ডলার খরচের বিষয়ে অভিযোগ ওঠার পর সৌদি রাজকীয় আদালতের প্রধান খালেদ আল-তুওয়াইজরি সাবেক বাদশাহ আব্দুল্লাহর লেখা একটি চিরকুট পান যাতে আরবিতে লেখা ছিল ‘কোনো সমস্যা নেই’।
[৮] তবে বিন সালমানের নির্দেশে গঠিত দুর্নীতি কমিটির তদন্তে বলা হচ্ছে বিন নায়েফ অর্থ পাচার করেছেন। এই কমিটি সৌদির সাবেক মন্ত্রী, ধনাঢ্য ব্যবসায়ী সহ ৩ শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করে বিন নায়েফ তাদের অন্যতম।