আনিস আলমগীর: টাকার বিনিময়ে এইদেশে কোনও বিষয়ে বিশেষজ্ঞান না থাকলেও যে কেউ যে ‘টক শো’ গেস্ট হতে পারে এবং আওয়ামী লীগের উপকমিটিতে পদ পেতে পারে, মো. সাহেদ তা দেখিয়ে দিয়েছে। এই করোনাকালে সে আরও দেখিয়ে দিয়েছে কেমন চলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এর মাথায় কেমন অপদার্থরা বসে আছেন। এবার খুঁজুন করোনা কেলেঙ্কারিতে জড়িত রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদের মিডিয়া প্রমোটর কারা। রাজনৈতিক আশ্রয়দাতা কারা। সাহেদ আমার সঙ্গে টকশোতে বসেছিল কিনা? হ্যাঁ বসেছে এক দিনের জন্য হলেও। তবে সেটা সে ভালোভাবে জানে কতো কসরৎ আর কতো ঘাটে তাকে সুপারিশ করতে হয়েছে, আমার কতো বড় ভাইকে ধরেছে, কতো রজনী পার করে এসেছে। তার সহকারি দিনের পর দিন অফিসে গিয়ে কী বিড়ম্বনা করেছে।
সে পর্ব অনেক দীর্ঘ। সাহেদ সৎ কাজে নেই সেটা জানতাম। কিন্তু সেটা করোনা রোগী নিয়েও হবে ভাবিনি। ভেবেছিলাম হয়তো এই সময়ে কিছু ভালো কাজ করে পাপ মোচন করছে। সবই ভুল। সাহেদের একটা সান্ত্বনার বিষয় থাকতে পারে, যারা টাকার বিনিময়ে এই দেশে টকশো গেস্ট বানানোর পাইওনিয়ার, মিডিয়া প্রমোটর, যারা টাকার বিনিময়ে রাজনৈতিক পদ বিক্রি করে তারা কখনো তাকে ছেড়ে যাবে না। এই দেশে অপরাধ করলে সাজা শুধু গরিবদের হয়। তার তো টাকার হিসাব নেই। এটা কোনো ব্যাপার নয়। সব ঠিক হয়ে যাবে। ফেসবুক থেকে