মো. আখতারুজ্জামান ও ইসমাঈল আযহার : [২] বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চাইলে এখন থেকে তাদের লভ্যাংশের অর্থ বাইরে না পাঠিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলে রাখতে পারবে। নিজেদের মত করে তা দেশের বাহিরে বা বাংলাদেশে নিজের বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পুনঃবিনিয়োগও করতে পারবে। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
[৩] কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিদেশি শেয়ারহোল্ডারের প্রদেয় লভ্যাংশ এখন থেকে এফসি হিসেব খুলে সেখানে জমা রাখা যাবে। তবে এই অর্থ যে লভ্যাংশ থেকে পাওয়া ব্যাংক থেকে তা নিশ্চিত হতে হবে। চাইলে তিনি এই অর্থ পুনঃবিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে বিনিয়োগের ১৪ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ এবং পরিসংখ্যান বিভাগকে জানাতে হবে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতিমালার সব ধরনের নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
[৪] বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অর্থবছরের ১১ মাসে বিভিন্ন খাতে সবমিলিয়ে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৩৭২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, এর মধ্যে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ১৯৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
[৫] যা গত অর্থবছরের চেয়ে এফডিআই কমেছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ ও নিট কমেছে ১৯ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে এফডিআই ছিল ৪৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং যার মধ্যে নিট এফডিআই পেয়েছিল ২৪২ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
[৬] জানা যায়, করোনাভাইরাসের এ সঙ্কট পরবর্তী অর্থনীতির গতি প্রকৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। এ সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষত চীন থেকে বড় ধরনের বিনিয়োগ পাওয়ার আশায় রয়েছে সরকার। এ রকম প্রেক্ষাপটে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ নেওয়াসহ বিভিন্ন নীতিমালা সহজীকরণ করা হচ্ছে।