সাইদ রিপন: [২] মঙ্গলবার সকালে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাক্ষাত করে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়। এসময় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও বগুড়া-৪ আসনের এমপি মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
[৩] চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোভিট-১৯ মহামারি ও উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই দুই সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে ১৪ এ কথা জানিয়েছে বিএনপি।
[৪] চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশন আগামী ১৪ জুলাই বগুড়া-১ ও যশোর-৩ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু আপনি অবহিত আছেন যে, বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস (কোভিড়-১৯) মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিনিয়ত আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া দেশের উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিভি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জাতীয় সংসদের দু’টি আসনে আগামী ১৪ জুলাই এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণায় বিএনপি গভীরভাবে ক্ষুব্ধ ও স্তম্ভিত। আমরা নির্বাচন কমিশনের উল্লিখিত উপ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের এ সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করি।
[৫] চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের পদক্ষেপ জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ও চরম হুমকি স্বরূপ। সে কারণে জনস্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা এ দু’টি উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্ণিত অবস্থায়, জনস্বার্থ বিবেচনায় কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার জন্য আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।