রবিউল আলম: কোভিড-১৯ বিশ্বকে এক কাতারে দাড় করিয়ে দিয়েছে। নতুন করে ভাবনার বিষয়গুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে। করোনার নমুনা নিয়ে আমাদের সময় কাটাতে হচ্ছে। কী হবে নমুনা দিয়ে, যদি পরীক্ষার ফল আসতে সপ্তাহ পার হয়ে যায়? করোনাভাইরাস থেকে রোগী ১৪ দিনে ভাইরাসমুক্ত হওয়ার একটা বার্তা বহন করে, হয় মৃত্যু না হয় সুস্থতার। করোনারভাইরাসের আতঙ্কে বিশ্ব, দিকনির্দেশনাহীন এই পৃথিবী। ইতোমধ্যে নমুনা সংগ্রহ নিয়ে অনেক প্রতারক চক্র গড়ে উঠেছে, সরকারের কিছু আমলা জড়িয়ে পড়েছে প্রতারক চক্রের সাথে।
দেশের বিপদের সময়ে মানুষের ব্যবসায়ী ও অর্থলোভের লালসা থেকে মুক্ত হতে পারেনি। নমুনা সংগ্রহের ধীরগতি। ইতোমধ্যে অনেকেই আমার মতো মনে করা শুরু করে দিয়েছে। ২০ কোটি জনসংখ্যার এ দেশে প্রতিদিন ২০ হাজার নমুনা সংগ্রহ করে কী সমাধান আসবে, তবে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষো ভূমিকা রাখছে। সরকার একটা কিছু করছে জনগণ মনে করতে পারে। লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন সব মিলিয়ে জনজীবন, খাদ্য ও অর্থ কষ্টে অতিষ্ট। জনগণকে নমুনা সংগ্রহে উৎসাহিত করার জন্য সরকার খাদ্য সহায়তার একটা পেকেট, কিছু ওষুধ, কিছু ব্যবস্থাপত্র বিনা মুল্যে দেওয়ার পরিবর্তে নমুনার জন্য ফি নির্ধারণ সরকারকে ভুল পথের বার্তা দিচ্ছে। কারা দিচ্ছে, কী কারণে, এই সহজ কথাটা না বোঝার কথা না। ইতোমধ্যে জেকেজি হেলথকেয়ার নমুনা সংগ্রহের প্রতারক চক্র, প্রশাসন আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, আরো অনেক চক্র দরার অপেক্ষায়। সে সময় নমুনার জন্য ফি নির্ধারণ প্রমাণ করে প্রতারক চক্র সরকারের কাছাকাছিই আছে নিজেদের আখের গোছাতে, ভুলপথে নিতে পারলে চক্র গড়ে ওঠা সহজ, তার উপর ফি নির্ধারণ তাদের জন্য সোনায় সোহাগা। জনস্বার্থে সরকারকে ফিরে আসতে হবে নমুনার ফি নির্ধারণ থেকে। লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :