কামরুল হাসান মামুন: আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম তখনো কলেজ থেকে অনার্স করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে মাস্টার্স করতে দেখেছি। তখন কেবল গুটি কয়েক বড় বড় কলেজ যেমন সোহরাওয়ার্দী কলজে, বিএম কলেজ বরিশাল, আনন্দমোহন কলেজ ময়মনসিংহে অনার্স ছিলো। অনেকেই আবার দুই বছরের বিএসসি করে তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিলিমিনারি এক বছর করে আমাদের সাথে মাস্টার্স করতো। আমার মনে হয়, এগুলো ভালো ছিলো। কলেজে অনার্স বা বিএসসি করে পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে অনেকেই বাংলাদেশের বরেণ্য ব্যক্তি হয়েছিলেন। যাদের মধ্যে অনেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও হয়েছিলেন।
সিলেট শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদিউজ্জামান ফারুক ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে অনার্স করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে এখন একজন অত্যন্ত উঁচু মানের শিক্ষক ও গবেষক হয়েছেন। আমার এক প্রাক্তন ছাত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও গভর্নরের উপদেষ্টা আল্লাহ মালিক কাজেমীও নাকি কলেজ থেকে অনার্স করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছিলেন।
হাজার হাজার কলেজে অনার্স, মাস্টার্স না খুলে সীমিত সংখ্যক কলেজে অনার্স খুললেই ভালো হতো। তবে সেখানে মাস্টার্স না থাকাটাই বাঞ্চনীয় কারণ মার্স্টাসে ংঢ়বপরধষরুবফ ও ধফাধহপবফ কোর্স পড়ানো হয়। সেই কোর্সগুলো কেবল উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন শিক্ষক দিয়েই পড়াতে হয়। তাই আমরা যদি মাস্টার্সের জন্য নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কেবল উত্তীর্ণ ও যোগ্য এবং মোটিভেটেড ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করে মাস্টার্স পড়াতে পারতাম তাহলে সকলের জন্যই মঙ্গল হতো। তাহলে কলেজে যারা অনার্স পড়ে তারাও একটি স্বপ্ন নিয়ে পড়াশোনা করতে পারতো। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :