শিরোনাম
◈ রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে প্রস্তাব ইইউ ও ওআই‌সির, বাংলাদেশ বললো এত শরণার্থীর বোঝা আর নেওয়া যাচ্ছে না ◈ ঢাকা ক‌্যা‌পিটাল‌সের আরও একটি চমক, মেন্টর হলেন পা‌কিস্তা‌নের শোয়েব আখতার ◈ সকালে পাকিস্তানও কেঁপেছে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্পে ◈ ভূমিকম্পে ঢাকার বংশালে বিল্ডিংয়ের রেলিং ভেঙে পড়ে নিহত অন্তত ৩ ◈ ভূমিকম্পে ঢাকায় আরমানীটোলায় ভবন ধস, হেলে পড়েছে কলাবাগান, মাতুয়াইল ও নিউমার্কেটের পাশের একটি ভবন ◈ 'এখনই তত্ত্বাবধায়ক' দাবি থেকে কেন সরে এলো বিএনপি ও জামায়াত? ◈ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো কলকাতাও ◈ আর্থিক দুর্নীতির মামলায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামীর বিরুদ্ধে দিল্লির আদালতে চার্জশিট জমা ◈ হামজা চৌধুরীর অভিনন্দন বার্তা পে‌য়ে বিস্মিত মুশফিকুর র‌হিম ◈ ঢাকাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প

প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০২০, ১১:৩৫ দুপুর
আপডেট : ০৪ জুলাই, ২০২০, ১১:৩৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাকন রেজা : গণস্বাস্থ্যের কিট, গ্লোবের ভ্যাক্সিন ও ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স

কাকন রেজা : একজন প্রশ্ন করলেন, ‘বাংলাদেশের ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের খবরে সবাই হা হা দিচ্ছে কেন?’ আসলেই তাই। সামাজিক মাধ্যমে এই খবরটিতে হাসির রিয়েক্টটা দিচ্ছেন অনেকেই। কারণ খুঁজতে গেলে এর সাথে মিল পাবেন ১৩ ঘণ্টা পানির নিচে জীবিত থাকা আর রেশমা কাহিনির সঙ্গে। বলবেন তো কীভাবে, বলি। মানুষ বাংলাদেশের ম্যাজিক রিয়েলিটির মধ্যে বসবাস করতে করতে সব কিছুকেই জাদু বাস্তবতা হিসেবেভাবে। ওই যে, সেই জাদুকরের মতন , যিনি বলেন, ‘আমি টাকা বানাতে পারি, টাকা দিয়ে কিছু কিনতে পারি না।’ অর্থাৎ দেখি, ছুঁতে পারি না। ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের খবরটিও দেশের মানুষ জাদু বাস্তবতা বলে ভেবেছে। ধোঁকা ভেবেছে।

আমাদের এত ধোঁকার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে যে, আমরা এখন রিয়েলিটির মধ্যেও ম্যাজিক দেখতে পাই। একজন দেখলাম করোনাকালের শুরুতে টিভিতে বলা গুরুত্বপূর্ণদের বক্তব্যে একত্রিত করে সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। সেই বক্তব্যগুলোর সাথে এখনের পরিস্থিতি মেলালেই সেই জাদু বাস্তবতার বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে উঠে। বলা হলো সব আছে, আমরা শুনলাম। এখন দেখি সব জাদুর টাকা। বানানো যায়, তা দিয়ে কিছু কেনা যায় না। জিডিপির হিসাবের মতন। হিসাবের টাকা অঙ্কে রয়েছে, পকেটে নেই। থাকলে একজন দিনমজুর একদিন কাজ যেতে না পারলেই তাকে উপোস করতে হতো না। ত্রাণের ট্রাক লুট হতো না।

ভ্যাক্সিন কেনো তৈরি করা যাবে না। গণস্বাস্থ্য যদি কিট তৈরি করতে পারে, তবে ভ্যাক্সিন কেনো পারা যাবে না। ড. বিজন কুমার শীলই তো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় কাজ করেছেন। পশুরোগের সফল ভ্যাক্সিন তৈরি করেছেন। এমন বিজন কুমার শীল দেশে আরো থাকবে না, এমন ভাবার কারণ নেই। হ্যাঁ, প্রশ্ন উঠতে পারেন কিট নিয়ে যা হলো, তা ভ্যাক্সিনের বেলাতেও ঘটে কী-না। এর নিশ্চয়তা দেয়া যায় না।

সামাজিকমাধ্যমে হাসির রিয়েক্টের কথায় আসি। যোগ্যতা এবং নিজের প্রতি ভরসা যাদের নেই, তারা সব কিছুকেই অবিশ্বাসের চোখে দেখে। যোগ্যতাহীনদের মধ্যে এক ধরণের হীনমন্যতা কাজ করে। তারা ভাবে, অন্যদের যদি ভালো বলি তবে তো আমরা মন্দ হয়ে যাই। ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স যাকে বলে। তাই তারা সব কিছুকেই অবিশ্বাসের চোখে দেখে। ঠিক তাও নয়, বলতে পারেন অবিশ্বাসের ভান করে। গণস্বাস্থ্যের কিট, গ্লোবের ভ্যাক্সিনও এর বাইরে নয়। অযোগ্যরাই এমন ক্ষেত্রে হাসির রিয়েক্ট দেন। মূলত নিজের জ্ঞান ও যোগ্যতার চ্যালেঞ্জকে এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেন। পারলে আপনারাও এদের এড়িয়ে যেতে বা মাড়িয়ে যেতে চেষ্টা করুন।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়