আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] কয়েকদিন আগে লকডাউনের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট বেশি ব্যবসায়ী পি জয়রাজ ও তার পুত্র জে বেনিককে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে প্রচণ্ড শারীরিক নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন এবং বেধরক পিটুনিতে পুলিশ হেফাজতে নিহত হন তারা। এবিসি নিউজ, দ্য ওয়াল, প্রিন্ট।
[৩] দক্ষিণের শহর সান্তানকুলামের এই ঘটনাকে দেশটির দূর্বল বিচার ব্যবস্থা ও পুলিশের নৃশংসতার প্রতীক হিসেবে দেখছেন ভারতীয়রা। প্রতিবাদকারীরা বলছেন, ভারতের দরিদ্র ও নিচু জাতের মানুষেরা প্রায়শই এই ধরণের নির্যাতনের শিকার হন যা স্পষ্টতই বর্ণবাদ।
[৪] নিহত দুজনের পারিবারিক আইনজীবি পিএম বিষ্ণুভারথানান এবিসিকে বলেন, ৪টি কর্তৃপক্ষ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। পুলিশ, মেডিক্যাল, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেল কর্তৃপক্ষ। যদি তাদের কেউ ঠিকমতো নিজেদের কাজ করতেন, আইন মানতেন, এই হত্যাকাণ্ড ঘটতই না।’
[৫] মধ্য জুনে, কারফিউ দেবার ১৫ মিনিট পরে দোকান খুলে রাখায় আটক করা হয় কাঠমিস্ত্রি জয়রাজকে। তার ছেলে বাঁধা দিলে তাকেও তুলে নেয়া হয়। থানার আশেপাশে থাকা ব্যক্তিরা বলছেন, তাদের প্রচণ্ড কাতরানির আওয়াজ তারা শুনেছেন। ময়নাতদন্ত বলছে, দুজনকেই যৌন নির্যাতন করা হয়েছিলো। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :