স্পোর্টস ডেস্ক: [২] নিজের বউকে তিনি আলমারিতে লুকিয়ে রেখেছিলেন। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি ঘটনা। ২১ বছর আগের এমন এক অভিজ্ঞতার কথা জানালেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার সাকলাইন মুশতাক।
[৩] ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের আসরে স্ত্রীকে সঙ্গে রাখতে এমন কৌশলই অবলম্বন করতে হয়েছিল বলে জানালেন ‘দুসরা’ ডেলিভারির জনক। বিশ্বকাপের ওই আসরে পাকিস্তানের রানার্সআপ হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকাও ছিল তার।
[৪] ওই আসরে স্ত্রীকে নিয়ে এক অজানা কথা শেয়ার করলেন সাকলাইন। ক্রিকইনফোর সাংবাদিক রওনক কাপুরের ‘বিঅন্ড দ্য ফিল্ড’-এ সাক্ষাৎকারের সময় তা তুলে ধরেন সাবেক তারকা এই অফস্পিনার।
[৫] দুই দশকের আগের সেই ঘটনা দিয়ে সাকলাইন জানান, সেবার বিশ্বকাপের শুরুতে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্য তথা স্ত্রী-সন্তানদের একসঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই টুর্নামেন্টের মাঝপথে পরিবারের লোকজনদের দেশে পাঠানোর নির্দেশ দেয় পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট।
[৬] সাকলাইন বলেন, ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে আমি বিয়ে করেছিলাম। ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। ওই বছরই আমি স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে শুরু করি। কারণ আমার স্ত্রী তখন লন্ডনে থাকত। দিনের বেলা হাড়ভাঙা অনুশীলন করতাম। আর সন্ধ্যার সময় স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতাম।
[৭] এটাই অভ্যাস হয়ে উঠেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে টিম ম্যানেজমেন্ট বলল স্ত্রীদের সঙ্গে রাখা যাবে না। আমি কোচ রিচার্ড পাইবাসকে বললাম, সব তো ঠিকই আছে। তাহলে এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী! আসলে আমি বিনা কারণে কোনো কিছুর পরিবর্তনে বিশ্বাস করি না। তাই ঠিক করেছিলাম দলের ওই সিদ্ধান্ত মানব না।
[৮] সাকলাইনের অভিজ্ঞতার পরেরটুকু আরও মজার। বলেন, টিমের ম্যানেজার, কোচ ও অন্যান্য অফিসিয়ালদের আমার স্ত্রীকে দেখে ফেলার ভয় ছিল। তাছাড়া ক্রিকেটাররাও আড্ডা দিতে আসত রুমে। আমার রুমের দরজায় টোকা পড়লেই স্ত্রীকে আলমারিতে লুকিয়ে ফেলতাম।
[৯] এভাবে অনেক দিন আমার স্ত্রী আলমারিতে লুকিয়ে থেকেছে। একদিন আজহার মাহমুদ, ইউসুফ ইউহানা রুমে এল। ওরা সন্দেহ করছিল যে আমার স্ত্রীর রুমে আছে। তারপর ওরা ভরসা দিতে স্ত্রীকে আলমারির বাইরে বেরিয়ে আসতে বললাম। ফাইনাল ম্যাচে হারের পর স্ত্রীকে লন্ডনের অ্যাপার্টমেন্টে চলে যেতে বলেছিলাম। কারণ তখন দলের সবার মনের অবস্থা ভালো ছিল না। তথ্যসূত্র, দেশরূপান্তর