সাইফুল সানি, টাঙ্গাইলের: [২] প্রতি বছর ১ জুলাই, সখীপুরে কালিয়ান গণহত্যা দিবস পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের এইদিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১৮ জন বাঙালিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এছাড়া আরো সাতজনের ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সরকার ২০১৯ সালে ওই স্থানে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করেছে। কিন্তু দীর্ঘ ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও গণহত্যার শিকার ওই ১৮জন এবং নির্যাতনের শিকার সাতজনের কেউ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি।
[৩] দিবসটি উপলক্ষে বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমাউল হুসনা লিজা স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, দেওয়ান হাবিবুর রহমান, সাবেক সিভিল সার্জন ডাক্তার আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক সিভিল সার্জন আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা গর্বিত যে আমাদের গ্রামের ১৮ জন বীর সন্তান স্বাধীনতার জন্য তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ওই ১৮ জনের কেউই এখনও পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি।
[৪] উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আলোচনা করে ১৮ জনের নাম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১ জুলাই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী উপজেলার কালিয়ান গ্রামে অতর্কিত হামলা করে ১৮ জন বাঙালিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এরা হলেন, মুন্সী রমেজ উদ্দীন, জোনাব আলী সরকার, হাবিবুর রহমান মুন্সী, আবদুল খালেক, বেলায়েত হোসেন, ছানোয়ার হোসেন, লাল মামুদ মিয়া, বাচ্চু মিয়া, ইয়াছিন আলী, মো: ছন্টু মিয়া, কাজী দুলাল হোসেন, আবদুল হাই শিকদার, জবেদ আলী শিকদার, ইসমাইল হোসেন, আরজু মিয়া, হৃদয় চন্দ্র সরকার, আবদুস ছালাম ও আবদুল জলিল।
আপনার মতামত লিখুন :