চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: [২] বর্তমান বাজার মূল্যে কচুচাষিরা বেশ খুশিই হয়েছে। বিঘা প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভের মুখ দেখেছে। তবে প্রতিযোগিতার বাজারে প্রতিযোগি করে কচু কিনে অনেক ব্যাপারী দু‘শ্চিন্তায় আছে। যদিও চাষিদের কাছ থেকে দামদর করে কচু নিয়ে ব্যাপারীরা কিছু করে টাকা বায়না দিয়ে রেখেছে। ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে চাষিরা ষোলআনা টাকা হাতে পাবে। আর লোকশান হলে চুক্তি মূল্যের কথা ঠিক রাখতে পারবে না ব্যাপারীরা।
[৩] জেলা কৃষিসম্প্রাসারণ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট জমির পরিমান ৯৪ হাজার ২২০ হেক্টর। চলতি বছর চাষিরা ভুট্টার আবাদে তেমন সুবিধা করতে না পারলেও ধানচাষে লাভবান হয়েছে। খাদ্য শস্য ও অর্থকারি ফসলের পাশাপাশি জেলার চাষিরা নানা ধরণের সবজির চাষ করে থাকে। সকজি চাষে জেলার গুরুত্ব অনেক বেশি। তারি ধারাবাহিকতায় এ বছর জেলাতে চলতি মৌসুমে আমন জাতের মুখি কচুর চাষ হয়েছে ১ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমি।
[৪] আর উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ মেট্রিক টন। গত বছর কচুচাষ হয়েছিলো ১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমি। আর কচু উৎপাদন হয়েছিলো ২৮ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন। এবছর বিঘা প্রতি মুখি কচুর ফলন হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ মন। চাষিরা এক বিঘা জমি পাইকারী বিক্রি করছে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকার মধ্যে। জমি চাষ, বীজ পরিচর্জাসহ মোট খরচ ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা হয়ে থাকে। ফলে বিঘাপতি লাভ হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। বর্তমান মুখি কচু পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি। আর খুচরা এক কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। আর কচুর পাইকারী বাজার গড়ে উঠেছে খুলনা, ঢাকা, চিটাগাং, ফরিদপুর ও মাগুরাতে। গত বছর চাষিরা কচুচাষ করে লাভবান হওয়ায় চলতি বছর ১২৫ হেক্টর জমিতে বেশি কচুর চাষ হয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী