সুলতান মির্জা : লঞ্চ দুর্ঘটনার খবর অনেকদিন ধরে দেখি না, একটা সময় ছিলো এই দেশে ঘন ঘন কোকোমুকোর মত বড় বড় লঞ্চ ডুবে যেতো। প্রতিটা লঞ্চ ডুবিতে ন্যূনতম শ’খানেক মানুষ মারা যেতো, কথা কিন্তু ওইটাই অনেকের কাছে লাশ একটি মাত্র সংখ্যা হলেও যার পরিবারের যায় তার জন্য কিন্তু সারা জীবনের হাহাকার রেখে যায়। লঞ্চ ডুবে যাওয়ার ফেলে আসা বাংলাদেশের পরিস্থিতে এমনও শুনেছি আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়া গেছে, লাশ প্রতি পরিবারে ছাগল দানসহ মুখরোচক ইত্যাদি চ্যাপ্টার। সেই বাংলাদেশ এখন আর নাই, দীর্ঘদিন পরে শুনলাম লঞ্চ দুর্ঘটনার কথা, সিসিটিভি ফুটেজে দেখলাম চিত্র।
অনেকেই এটাকে দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ হলেও বাস্তবতা হচ্ছে এটাও দুর্ঘটনা, নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার দুর্ঘটনা।
নৌপরিবহন ব্যবস্থাপনা আইন সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা নেই, তাই মন্তব্য করতে পারছি না। তবে নিহতদের পরিবারের জন্য দেড় লাখ টাকা করে অনুদান যথার্থ মনে হলো। ঠিক এই রকম হযবরল মুহূর্তে পর্যাপ্ত। মানুষ মারা গেলে মানুষ ফেরত পাওয়া যায় না, সান্ত্বনাও কাজে আসে না, তবুও সরকারের পক্ষ থেকে সহমর্মী হয়ে পাশে থাকা নেতৃত্ত্বে শেখ হাসিনা বলেই হয়তো সম্ভব হয়েছে। লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত সকল পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :