ডেস্ক রিপোর্ট : [২] টানা ২৫ দিন পর কক্সবাজার শহরে লকডাউন শিথিল হচ্ছে। বুধবার (১ জুলাই) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহরে সবধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে। তবে পৌরসভার অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও করোনাপ্রবণ এলাকায় সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি জারি করা হয়েছে। লকডাউন শিথিল করা হলেও এ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, যাতে করোনার বিস্তার না ঘটে।
[৩] করোনা সংক্রমণের কারণে গত ৫ জুন কক্সবাজার শহরকে দেশের প্রথম ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে পরদিন ৬ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত পক্ষকালের লকডাউন ঘোষণা হয়। পরে এ লকডাউনের সময়সীমা আরও দশদিন বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
তবে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৮ মার্চ থেকেই কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশপাশি সমুদ্র সৈকতেও মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
[৪] এরপর গত ২৪ মার্চ কক্সবাজারে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং এদিন থেকে কক্সবাজার জেলাকে অন্যান্য জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। কার্যত তখন থেকেই কক্সবাজারের অধিকাংশ ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে এবং লোকজন ঘরবন্দি রয়েছে। সম্প্রতি ‘রেড জোন’ চিহ্নিত দেশের কয়েকটি জেলায় আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার, যারমধ্যে কক্সবাজারও রয়েছে।
[৫] দীর্ঘ সাড়ে তিন মাসের এ লকডাউন শিথিল করার জন্য সোমবার (২৯ জুন) বিকেলে দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দোকান ভাড়া মওকুফসহ কয়েকদফা দাবি-দাওয়া জানিয়েছে। কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, এ লকডাউনের কারণে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে প্রতিদিন ১০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে।বাংলানিউজ, প্রিয়ডটকম