এএইচ রাফি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: [২] জেলার নাসিরনগরের ধরমন্ডলে লাইজু আক্তার (১৫) নামের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সোমবার মধ্যরাতে জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
[৩] এই ঘটনা জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিহত লাইজুর পিতা সনু মিয়া (৬৫), বড় ভাই আদম আলী (২৫) ও মামা মাজু মিয়া (৩০)।
[৪] অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা জানান, গত শনিবার নাসিরনগরের ধরমন্ডল এলাকার একটি ডোবা থেকে লাইজু আক্তার নামের তরুণীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারে পর পরিবারের সদস্যরা জানায় লাইজু ৫দিন যাবত নিখোঁজ ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা আরও বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পরিবারের বক্তব্যে ৫দিন খোঁজের বিষয়টি জানতে পেরে লাইজুর পরিবারের উপর সন্দেহ হয়।
[৫] কারণ একটি তরুণী ৫দিন যাবত নিখোঁজ ছিল অথচ পরিবারের সদস্যরা একটি জিডিও করেননি থানায়। এই সন্দেহ থেকে কৌশলে তাদের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরই একপর্যায়ে তার আপন মামা মাজু মিয়া হত্যা কান্ডের কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে।
[৬] লাইজুর স্বভাব চরিত্র ভাল ছিল না। প্রায়ই বিভিন্ন ছেলেদের সাথে বিভিন্ন স্থানে শারীরিক মেলামেশা করত। পরিবারের কারো কথা তোয়াক্কা করতো না।
[৭] পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৩জুন রাতে লাইজুকে কৌশলে বাড়ির পাশে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় বাবা সনু মিয়া ও মামা মাজু মিয়া। সেখানে মামা মাজু মিয়া ভাগ্নি লাইজুর হাত-পা চেপে ধরে ও বাবা সনু মিয়া লাইজুর গলায় ওরনা প্যাঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। এর কিছুক্ষণ পর লাইজুর ভাই আদম আলী ঘটনাস্থলে আসলে তিনজনে মিলে লাইজুর মরদেহ ডোবায় ফেলে দিয়ে কচুরিপানা দিয়ে চাপা দিয়ে রাখে। এরপর তারা প্রচার করেন লাইজু নিখোঁজ রয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :