শিরোনাম
◈ পারস্পরিক শুল্ক সংকট: চূড়ান্ত দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ ◈ আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ভাগ্যবদল: লটারিতে জিতলেন ৮০ কোটি টাকা ◈ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ১১৮, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনায় হামাস ◈ ‘মব এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী’ ◈ হোটেলে নারীকে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশ ◈ বনানীর জাকারিয়া হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ভিডিও ◈ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ ◈ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ ◈ তিন দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পাবেন না যারা ◈ উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ২৯ জুন, ২০২০, ০৮:২৮ সকাল
আপডেট : ২৯ জুন, ২০২০, ০৮:২৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিটিআরসির বিধিনিষেধ ঠেকাতে আদালতে গেল গ্রামীণফোন

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আরোপ করা বিধিনিষেধ ঠেকাতে আদালতে গেল মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। বিটিআরসি গত ২১ জুন গ্রামীণফোনের ওপর দুটি বিধিনিষেধ জারি করে। তা ঠেকাতে আজ রোববার হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে গ্রামীণফোন। আদালতসূত্রে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রথমআলো

তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাধারী বা এসএমপি (সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার) অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোনকে দুটি বিধিনিষেধ দিয়েছিল বিটিআরসি। নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী, আগামী ১ জুলাই থেকে গ্রামীণফোন আগাম অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের নতুন সেবা, অফার বা প্যাকেজ দিতে পারবে না। এখনকার অফার অথবা প্যাকেজও আবার অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।

এ ছাড়া নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলে গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে 'লকিং পিরিয়ড' হবে ৬০ দিন। অন্যদের ক্ষেত্রে যা ৯০ দিন। এর মানে হলো, গ্রামীণফোন সহজে ছাড়া যাবে।

বিটিআরসি গ্রামীণফোনের ওপর এসব বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতা প্রবিধানমালার (২০১৮) অধীনে। এর আওতায় সংস্থাটি গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনকে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাধারী (এসএমপি) অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করে।

কোনো মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসংখ্যা, রাজস্ব অথবা তরঙ্গ—এ তিন ক্ষেত্রের একটিতে ৪০ শতাংশের বেশি বাজার হিস্যাধারী হলে এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করা যায়। গ্রামীণফোন গ্রাহকসংখ্যা ও অর্জিত বার্ষিক রাজস্বের দিক দিয়ে ৪০ শতাংশ বাজার হিস্যাধারী।

বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণার পর গত বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি চারটি বিধিনিষেধ জারি করে। বিধিনিষেধগুলো ছিল মাসিক কলড্রপের সীমা ২ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসা, দেশজুড়ে কোনো প্রচার বা মার্কেট কমিউনিকেশন না করা, এমএনপির (নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল) 'লক ইন পিরিয়ড' ৩০ দিনে কমিয়ে আনা ও অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একক বা স্বতন্ত্র চুক্তি না করা। পরে আবার এসব বিধিনিষেধ তুলেও নেওয়া হয়। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল।

আরও একবার বিষয়টি আদালতে গড়াল। অবশ্য আজ আদালতে যাওয়ার বিষয়ে গ্রামীণফোনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাজারের বড় অপারেটরের প্রতিযোগিতা বিরুদ্ধ আচরণ ঠেকিয়ে বাকি অপারেটরগুলোকে সুরক্ষা দিতে বিভিন্ন দেশে কোনো অপারেটরকে এসএমপি হিসেবে ঘোষণার নজির রয়েছে।

তবে গ্রামীণফোন বলছে, তাদের কোনো আচরণ প্রতিযোগিতা পরিবেশ বিনষ্ট করছে না। গ্রামীণফোনের পরিচালক ও হেড অব পাবলিক অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত এক লিখিত বিবৃতিতে গত ২১ জুন প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের মোবাইল খাত যথেষ্ট প্রতিযোগিতামূলক। এখানে গ্রামীণফোন সময়োচিত বিনিয়োগ, নিত্যনতুন উদ্ভাবন ও ব্যবসায়িক পরিচালন দক্ষতার মাধ্যমে প্রসার লাভ করেছে। তিনি বলেন, সর্বশেষ বিধিনিষেধ এসএমপির মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে অসংগিতপূর্ণ। কেননা বাজার বিনষ্ট হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে এটি আরোপ করা হয়নি।

হোসেন সাদাত আরও বলেন, 'আরোপিত এই অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিধিগুলোই মূলত প্রতিযোগিতাবিরোধী, যা গ্রাহক স্বার্থের পরিপন্থী। এটা জাতীয় রাজস্ব, বিনিয়োগের পরিবেশের ওপর ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।' বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, গ্রামীণফোন চিঠিটি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়