রিয়াজুর রহমান : [২] করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের সক্রিয় কার্যক্রমের পাশাপাশি আসন্ন কোরবানির ইদকে সামনে রেখে ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
[৩] রবিবার ২৮ জুন দুপুর ১২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুক , নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিল্লুর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয় ।
[৪] নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুকের নগরীর খাতুনগঞ্জে ভোগ্যপণ্য মসলার দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে এসময় বেশি দামে মসলা বিক্রি , মুল্য তালিকায় হেরফের ও ঘষামাজা করার কারনে ৪ ব্যবসায়ীকে ৫০,০০০( পঞ্চাশ হাজার) অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
[৫] মেসার্স নারায়ণ ভান্ডার কে ২্০,০০০(বিশ হাজার) টাকা, মেসার্স চিটাগং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্স কে ১০,০০০( দশ হাজার) টাকা, আল্লাহর দান স্টোরকে ১০,০০০( দশ হাজার) টাকা,মেসার্স অনিল দেব স্টোরকে ১০,০০০(দশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
[৬] নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, খাতুনগঞ্জ বাজারে আজকের অভিযানে বেশ কয়েকটি মসলার আড়তে লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। যেখানে দেখা যায় কয়েকজন আড়তদারের টাঙিয়ে রাখা বিক্রয় মুল্য তালিকা ও ডকুমেন্ট হিসেবে রাখা তাদের ক্রয় মুল্যে অনেক পার্থক্য। যেমন ২৪১০ টাকার এলাচি ৩৬০০ টাকার উপরে বিক্রয়ের প্রমান পাওয়া যায়।
[৭] তিনি বলেন,অভিযান চলাকালীন অনেক ব্যবসায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সাটানো মূল্য তালিকায় রাখা মুল্য কাটাছেঁড়া করে কমিয়ে রাখে যা তাৎক্ষণিক নজরে আসে।
[৮] দেখা যায় ২৪১০ টাকার এলাচী বিক্রয় মুল্য তালিকায় লেখা ছিলো ৩৬০০ টাকা পর্যন্ত। ২৪০ টাকার দারুচিনি ৩৭০- ৪০০ টাকা পর্যন্ত, গোল মরিচ ৪২০ টাক থেকে ৬২০ টাকা পর্যন্ত, লবঙ্গ ৬৮০ টাকা পর্যন্ত ২৭৫ টাকার জিরা ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করতে দেখা যায়।কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট আসায় তারা দাম অনেক কমিয়ে লিখে রাখে যে বিষয়টি হাতেনাতে ধরা পড়ে।
[৯] নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক আরো বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন যারা কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে মসলা জাতীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে।তাই বাজার মনিটরিংয়ের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
[১০] অন্যদিকে নগরীর পাহাড়তলী কাঁচা বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন এর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত মূল্য তালিকা না থাকায় ৩ জন দোকানদারকে ৩০০০ টাকা অর্থদন্ড দেন।
[১১] এছাড়া জেলা প্রশাসন অপর একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিল্লুর রহমান পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর চাঁন্দগাও এলাকায় তিনটি দোকানকে মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে প্রদর্শন না করায় ১০০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা অর্থদন্ড দেন।
[১২] ঈদকে সামনে রেখে যাতে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম অস্থিতিশীল না করতে পারে সেজন্যে এধরণের অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।