সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ব্যারিস্টার তাপস হুঁশিয়ারি দেন, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৬ জন কর্মকর্তাকে চাকুরিচ্যুত করেন। বদলী করা হয় ১৫ কর্মকর্তাকে। চাকরি হারানোর ভয়ে সবচেয়ে আতংকে আছে রাজস্ব বিভাগ, বাজার সার্কেল আর প্রকৌশল বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তারা।
[৩] এ কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই এসেছেন সমাজকল্যাণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগ থেকে। এসব বিভাগে বিশেষ সুবিধা না থাকায় তারা বদলী নেন। একাধিক সূত্র জানায়, গত ৫ বছরে ডিএসসিসির অর্ধশত কর্মকর্তার বিভাগ বদল হয়েছে।
[৪] মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, প্রশাসনিক সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু কার্যক্রম হাতে নেয়া হচ্ছে। সব বিভাগ যখন একাগ্রচিত্তে কাজ শুরু করতে পারবে, তখন ঢাকাবাসীকে আরও বেশি সেবা দিতে পারব।
[৫] এরই মধ্যে মেয়র সেলে জমা পড়েছে একাধিক অভিযোগ। ডিএসসিসির সমাজকল্যাণ বিভাগের কেয়ার টেকার হয়েছেন উপ-কর কর্মকর্তা, রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা হয়েছে হিসাবরক্ষক, সমাজকল্যাণ বিভাগের কেয়ারটেকার হয়ে গেছেন বাজার শাখার উপ-কর কর্মকর্তা, বাজার শাখার উপ-কর কর্মকর্তা চলতি দায়িত্বে এবং রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি রাজস্ব কর্মকর্তার পদেও রয়েছেন।
[৬] অন্যদিকে নগর পরিকল্পনা ও ডিজাইন বিভাগের এক কর্মকর্তা রাজস্ব বিভাগে একটি অঞ্চলের দায়িত্বে আছেন। তিনি সাবেক মেয়রের এতটাই আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন যে, একাই উপ-কর কর্মকর্তা বিউটিফিকেশন ও বিলবোর্ড, কর কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) অঞ্চল-১ এবং সাবেক মেয়রের একান্ত সচিব-২ এই তিনটি দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান মেয়র আসার পরে মেয়রের একান্ত সচিব-২ পদ থেকে সরানো হয়েছে।
[৭] মেয়র আরো বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে ডিপার্টমেন্ট পরিবর্তন করেছে তাদের ব্যাপারটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষ সুবিধার জন্য যাদের হয়রানী ও অনিয়মের অভিযোগ আসছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[৮] ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. এমদাদুল হক বলেন, কারও কারও বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এটা ঠিক। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় বলা সম্ভব নয়। শুধু এটুকু বলতে পারি, অনিয়ম কিংবা গাফলতি পেলে কেউ ছাড় পাবে না। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :